বর্তমান সময়ে গোটা বিশ্ব প্রযুক্তি সমৃদ্ধ। এমনকি প্রায় সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেকেই এই প্রযুক্তির মাধ্যমে নানা ধরনের অনেক কিছুই আবিষ্কার করছে। এই প্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবনী ভূমিকা রাখায় ইরানের আয়োজিত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মুসলিম বিজ্ঞানীর পুরষ্কার পেলেন ৫ জন। এদেরই মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশী একজন। সম্প্রতি এই ৫ জনের মাঝে পুরষ্কার হস্তান্তর করেছে দেশটি।
বাংলাদেশের পদার্থ বিজ্ঞানী ড. এম জাহিদ হাসানসহ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পাঁচ মুসলিম বিজ্ঞানীর কাছে মুস্তাফা (সা.) পুরস্কার হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রত্যেককে পুরস্কার হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা এবং একটি করে ক্রেস্ট দেওয়া হয়েছে। তেহরানে মুস্তফা (সা.) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও ইসলামী ঐক্য সপ্তাহ উপলক্ষে শুক্রবার ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দুই বছর পরপর বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মুসলিম বিজ্ঞানী ও গবেষকদের এ পুরস্কার দিয়ে আসছে ইরান ভিত্তিক এই ফাউন্ডেশন। শ্রেষ্ঠ প্রবাসী মুসলিম বিজ্ঞানী হিসেবে এবার যৌথভাবে বিজয়ী হয়েছেন, বাংলাদেশের পদার্থ বিজ্ঞানী ড. এম জাহিদ হাসান ও ইরানের বিজ্ঞানী কামরান ওয়াফা।
জাহিদ হাসান যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। ইরানের কামরান ওয়াফা অধ্যাপনা করছেন হার্ভার্ডে। বাংলাদেশি বিজ্ঞানী জাহিদ হাসান ও তার সহযোগীরা পরীক্ষাগারে গবেষণা করে ‘ভাইল ফার্মিয়ন কণা’র খোঁজ পেয়েছেন। এ আবিস্কারের মাধ্যমে তিনি পদার্থবিজ্ঞানে অনেক বড় অবদান রেখেছেন। ইরানি বিজ্ঞানী কামরান ওয়াফা এফ-থিউরির উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। এছাড়াও এবার স্বদেশে বসবাসকারী শ্রেষ্ঠ মুসলিম বিজ্ঞানী হিসেবে যৌথভাবে বিজয়ী হয়েছেন মরক্কোর ইয়াহিয়া তিয়ালাতি, লেবাননের মুহাম্মাদ সানেগ ও পাকিস্তানের মুহাম্মাদ ইকবাল চৌধুরী। এর আগে আরও তিন দফায় ৯ জন শ্রেষ্ঠ মুসলিম বিজ্ঞানীকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তারা ছিলেন ইরান, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক ও জর্ডান থেকে।
বাংলাদেশী বিজ্ঞানী ড. এম জাহিদ হাসানের সফলতা দেশ ও জাতির জন্যও অত্যান্ত গৌরবের এবং সম্মানের। ড. এম জাহিদ হাসানের মত বাংলাদেশী অনেকেই রয়েছে যারার কিনা তাদের মেধা গুনে বিশ্বে জুড়ে অর্জন করছে নানা ধরনের সফলতা। এই সফলতার জের ধরে প্রায় সময় আলোচনায় উঠে আসে অনেকে।