ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনের দিকে তাকিয়ে থাকলেও পণ্যের দাম বাড়াতে প্রস্তুত নয়। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ অ্যাপারেল ফোরামের পঞ্চম অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, পণ্যের দাম বাড়ানোর বিকল্প নেই।
পোশাক শিল্পের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাপারেল ফোরামের এই সংগঠন। সেমিনারে পোশাক শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি বারবার উঠে আসে। তবে এই মুহূর্তে ইইউ কতটা প্রস্তুত তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ঢাকায় ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান স্মরণ করিয়ে দেন, বিশ্বব্যাপী যু/দ্ধের কারণে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চার্লস হোয়াইটলি বলেন, ইইউ শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রচেষ্টা পর্যবেক্ষণ করছে। আমরা পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনের ওপর জোর দিই। শিগগিরই নতুন আইন হবে। এটি মেনে চলা পণ্য উত্পাদনকারী সংস্থাগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পরিবেশ রক্ষাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ইইউ নির্বাচনের পর পরিবেশ সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হবে। সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে কারখানা মালিকদের। সবুজ কারখানা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সালমান এফ. রহমান বলেন, উৎপাদনের আগে এবং পরবর্তী বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। তুলার আমদানি কমানো সম্ভব। শ্রম আইন নিশ্চিত করতে রোডম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে। সরকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। মানবসৃষ্ট তন্তু থেকে তৈরি পোশাকের বড় বাজার দখল করেছে চীন। তাই সম্ভাবনাময় এ খাতের দিকে নজর দিতে হবে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), সরকার ও শ্রমিক-তিন পক্ষই কারখানায় শ্রমিকের অগ্রগতি নিয়ে একে অপরের দিকে আঙুল তুলেছে। তবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা মনে করে, সব পক্ষ একমত না হলে সার্বিক অগ্রগতি সম্ভব নয়।