বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। তাই ব্যবসায়িক লেনদেন সচল রাখতে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বেড়েছে।
এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) লেনদেনের সুবিধার্থে বাংলাদেশি টাকায় বিভিন্ন দেশের মুদ্রার হার বা বাংলাদেশি টাকায় বিভিন্ন দেশের টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রা – বাংলাদেশি টাকা
মার্কিন ১ ডলার – ১১৪.০০ টাকা
সৌদির ১ রিয়াল – ২৯.৩৩ টাকা
মালয়েশিয়ান ১ রিংগিত – ২৬.২০ টাকা
ব্রুনাই ১ ডলার – ৮১.৯৮ টাকা
ইতালিয়ান ১ ইউরো – ১৩৪.৫০ টাকা
ব্রিটেনের ১ পাউন্ড – ১৫৫.০০ টাকা
ইউরোপীয় ১ ইউরো – ১১৭.৮৮ টাকা
অস্ট্রেলিয়ান ১ ডলার – ৮০.৫০ টাকা
নিউজিল্যান্ডের ১ ডলার – ৬৬.৬১ টাকা
সিঙ্গাপুরের ১ ডলার – ৮৩.৫০ টাকা
ইউ এ ই ১ দিরহাম – ৩২.৩১ টাকা
ওমানি ১ রিয়াল – ৩০৮.২ টাকা
কানাডিয়ান ১ ডলার – ৮৯.১১ টাকা
কাতারি ১ রিয়াল – ৩৩.৭৫ টাকা
কুয়েতি ১ দিনার – ৪০০.০০ টাকা
বাহরাইনি ১ দিনার – ৩২৭.১ টাকা
দক্ষিণ আফ্রিকান ১ রান্ড – ৫.৮০ টাকা
জাপানি ১ ইয়েন – ০০.৭৪১ পয়সা
চাইনিজ ১ ইউয়ান – ১৫.০৪ টাকা
সুইজারল্যান্ডের ১ ফ্রেঞ্চ – ১৩৬.৭৩ টাকা
ইন্ডিয়ান ১ রুপি – ১.২৯ টাকা
দক্ষিণ কোরিয়ান ১ ওন – ০.০৯৯৯ টাকা
ইউক্রেন ১ রিভনিয়া ৩.০২ টাকা
( মুদ্রা বিনিময় হার যেকোনো সময় পরিবর্তিত হতে পারে।)
কখন টাকা পাঠালে আপনাকে কমবেশি লাভজনক করে তুলবে?
অবশ্যই, রেট বেশি হলে টাকা পাঠিয়ে আপনি লাভ করতে পারেন। যেহেতু টাকার হার প্রতিনিয়ত ওঠানামা করে, তাই আপনাকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে কখন টাকার মূল্য বাড়বে। আপনি বাড়ার সাথে সাথে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আপনার রেমিটেন্স পাঠালে আপনি লাভবান হবেন। প্রতিদিনের মুদ্রার হার আপডেট জানতে নিয়মিত আমাদের সাইটে ঘুরে যান।
এদিকে ডলারের মূল্য বা টাকার রেট সব সময় এক থাকে না। কখনো ডলারের মূল্য বেশি আবার কখনো অনেক কম। এজন্য প্রতিদিনের টাকার রেট সম্পর্কে আপনার অবশ্যই ধারণা থাকতে হবে। আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে, আপনি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী টাকার দৈনিক রেট জানতে পারবেন।
বাংলাদেশের মুদ্রা চালু হয় কবে?
বাংলাদেশে প্রথম কাগজের নোট চালু হয় ৪মার্চ, ১৯৭২ সালে। ওই দিনই প্রথম 1১ টাকা এবং ১০০ টাকার নোট চালু হয়। তখন পর্যন্ত লেনদেনের জন্য পাকিস্তানি রুপি ব্যবহার করা হতো। কেউ কেউ ভারতীয় রুপিও লেনদেন করেছেন। এসব নোটে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ছাপা ছিল। এরপর ২ মে ১৯৭২ সালে ১০ টাকার নোট এবং ২ জুন ৫ টাকার নোট বাজারে আসে। তখন এক মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল সাড়ে সাত টাকা থেকে আট টাকার মধ্যে।
কোন দেশে টাকার মূল্য সবচেয়ে বেশি?
কুয়েতের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে কুয়েতি দিনার বিশ্বের সর্বোচ্চ মূল্যবান মুদ্রা। দেশটির অর্থনীতি প্রধানত তেল রপ্তানির উপর নির্ভরশীল কারণ এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মজুদ রয়েছে।