কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর তাঁর নিজস্ব ফেসবুক প্রোফাইলে নবনির্বাচিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সম্পর্কে একটি স্ট্যাটাস দেন। এসময়ে তিনি বিভিন্ন কারণে নতুন সিইসির প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তাঁর সামনে আসতে থাকা নানাবিধ চ্যালেঞ্জের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন।
শওগাত আলী সাগরের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকের সুবিধার্থে হুবহু তুলে ধরা হলো –
নতুন নির্বাচন কমিশনের ঘোষণার পর চারজনই মিডিয়ার সাথে কথা বলেছেন। দায়িত্ব নেয়ার আগে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানানো আর কি। নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যগুলো কয়েকবার করে পড়লাম।
নতুন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথম রাতেই বিড়াল মারার ফর্মুলায় হাক ডাক ছাড়েননি, চমকে দেয়ার মতো করে নিজেকে বীর পুরুষ হিসেবে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেননি। অতীতে অনেক সিইসিই দায়িত্ব নেবার আগেই আকাশ পাতাল একাকার করে ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন, কিন্তু কার্যত সেটি করতে পারেননি।
নতুন সিইসি বরং তার সীমাবদ্ধতাগুলো বার বার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, অন্য পক্ষগুলোর দায়িত্ব মনে করিয়ে দিয়েছেন, অন্যের সহযোগিতা চেয়েছেন। প্রথম দিনের কথাবার্তায় অন্তত তিনি চমকে দেয়ার মতো কোনো বক্তব্য দিয়েছেন বলে চোখে পড়েনি।
“তারা যদি মনে করে নির্বাচন কমিশন সুন্দর নির্বাচন করিয়ে দেবে, তাহলে ভুল-ভ্রমাত্মক ধারণা হবে। “নতুন নির্বাচন কমিশনারের মনোভাব এটি হলেও সাধারণ মানুষ কিন্তু সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের ভূমিকাকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।
কমিশনের সক্ষমতা দেখতে চায়।’ রাজনৈতিক দায়িত্ব’ অবশ্যই অনেক বড়, কিন্তু সেটি কমিশনের নিষ্ক্রিয়তার অজুহাত হিসেবে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হবে না।
শুরুতেই বলেছি, নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব বুঝে পাওয়ার আগেই মিডিয়ায় কথা বলেছেন। দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর তাদের কাছে কথার চেয়ে কাজই বেশি আশা করবো, তাদের কাজগুলো দৃশ্যমান হবে বলে প্রত্যাশা করবো।
বাংলাদেশটা নিউজিল্যান্ড নয়, এখানে চা খেতে খেতে নির্বাচন হয়ে যাবে না। বাংলাদেশে বাংলাদেশের মতোই নির্বাচন হোক, ধাক্কাধাক্কি করে হলেও নাগরিকরা যেনো নিজেদের ভোটটা তাদের পছন্দ মতো দিতে পারে, এই নির্বাচন কমিশন সেই পরিবেশ তৈরি করুক, সেই আস্থা তৈরি করুক।
প্রসঙ্গত, নরসিংদীতে জন্মগ্রহণকারী ও বর্তমানে কানাডা নিবাসী সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর ‘নতুন দেশ’ নামক কানাডা থেকে প্রকাশিত একটি বাংলা সংবাদ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে কর্মরত আছেন।