গোটা পৃথিবী বৈশ্বিক সংকটের কবলে পড়েছে ভাই/রা/সের প্রকোপে। বাংলাদেশও রয়েছে এই তালিকায়। তবে প্রত্যেকটি দেশ এই চলমান সংকট মোকাবিলায় নিরলস ভাবে কাজ করছে। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ ভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশকে স্বল্প সুদে প্রায় ৮৫৬ কোটি টাকা ঋন দিতে চায় দেশটি।
করো/না ভাই/রা/স মহামারির আ/ঘা/ত সামলে অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে বাংলাদেশকে স্বল্প সুদে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮৫৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কয়েকটি দাতা গোষ্ঠীর সঙ্গে যৌথভাবে একটি প্রকল্পে অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি। সোমবার (১৫ নভেম্বর) দক্ষিণ কোরীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সিউলভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দ্য কোরিয়া হেরাল্ড। দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশের ৭০০ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা) একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বল্প সুদে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দেবে কোরীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ)।
কোরীয় গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, বাংলাদেশের ওই প্রকল্পে ২৫০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ২৫০ মিলিয়ন ডলার এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) এবং ১০০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে ওপেকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন তহবিল। তবে প্রকল্পটি কী, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। উন্নয়নশীল দেশগুলোকে মৌলিক অবকাঠামোতে সহায়তার লক্ষ্যে ১৯৮৭ সালে ইডিসিএফ কর্মসূচি শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে এবারই প্রথম কোনো উন্নয়নশীল দেশের প্রকল্পে যৌথভাবে অর্থায়ন করছে ইডিসিএফ এবং এআইআইবি।
কয়েকদিন আগে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত দেশটিতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রশংসা করে নতুন প্রবাসী শ্রমিক নিয়োগের জন্য সুসংবাদ প্রদান করেছে। এবার বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন খাতে যৌথ ভাবে কাজের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশ।