নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে যাবে। বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিছুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা ছাড়া আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তাই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই নির্বাচন শুধু আমাদের নয়। পুরো বিশ্ব আমাদের দেখছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে না পারলে সামনে খারাপ দিন রয়েছে। এক্ষেত্রে আর্থিক, সামাজিকসহ নানাভাবে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই ৫দিন কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ছয় দিন বাকি। যে কোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। সে লক্ষ্যে ২৮ নভেম্বর থেকে মাঠে রয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। তারা আচরণবিধি কার্যকর করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এই প্রথম প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার জন্য একজন সার্বক্ষণিক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা দিয়ে নির্বাচনী তদন্ত করা হয়েছে। উভয় মাঠে খুব ভাল কাজ করছে। আমি এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পুরো মাঠ চষে বেড়িয়েছি। সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা দেশের বিভিন্ন স্থানে গেছেন।
নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি ম্যাজিস্ট্রেটরা আচরণবিধি প্রতিপালনে চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে তাদের কাছে যেসব অভিযোগ এসেছে এবং যেগুলো তারা সমাধান করতে পারেননি বা রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচনী তদন্ত কমিটিতে দিয়েছেন, তারা কয়েকজনের উপস্থিতি চেয়েছেন। কাউকে দুঃখ দেওয়া, লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া। এইভাবে নিষ্পত্তি করছেন। আমাদের কাছে কিছু এছেছে, আমরা তার ব্যবস্থা নিয়েছি।
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ইসির প্রচেষ্টা সীমাহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্য যেকোনো নির্বাচনের তুলনায় এবার স/হিংসতা খুবই কম। তবে বিশেষ করে দুটি ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও, আচরণবিধি লঙ্ঘন স্বাভাবিকের চেয়ে কম। তবুও, আমরা আত্মতুষ্ট হতে চাই না।
অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনকে সং/ঘাতমুক্ত রাখতে হবে। এটিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হলে আপনাকে আপনার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রথম পর্বে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৪৩১ জন ম্যাজিস্ট্রেট অংশগ্রহণ করেন।