চলছে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন আর এই কারনে অনেক দেশই পড়ছে এর কুফলের মুখে। বাংলাদেশও এর থেকে পায়নি রেহাই। আর এই কারনে এবার বাংলাদেশকে নিয়ে আবারো নতুন বার্তা দিলো যুক্তরাষ্ট্র স্টেট ডিপার্টমেন্ট। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং বিশুদ্ধ পানি প্রক্রিয়াকরণে বাংলাদেশসহ এশিয়ার সব ঝুঁকিপূর্ণ দেশ মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সহায়তা নিতে পারে জানিয়েছেন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
বুধবার ওয়াশিংটনে ফরেন প্রেস সেন্টার আয়োজিত এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে নাসার প্রধান বিজ্ঞানী ও জ্যেষ্ঠ জলবায়ু উপদেষ্টা ড. ক্যাথেরিন ক্যালভিন।
এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদক মুশফিকুল ফজল আনসারী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ এবং দেশের সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
নাসার প্রধান বিজ্ঞানী এই প্রসঙ্গে বলেন, “নাসা সমগ্র বিশ্বের কল্যাণে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে। আমরা আমাদের পর্যবেক্ষণ ও কার্যক্রম দিয়ে সবাইকে সেবা দিতে চাই। নাসা অনেক প্রযুক্তিগত অগ্রগতি করেছে।”
ব্রিফিংয়ে মুশফিক জানতে চান, “বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি। আপনার জলবায়ু গবেষণা থেকে বাংলাদেশ কী ধরনের সুবিধা পেতে পারে? সবাই যেটা বলছেন সেটা হল- জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া এবং ক্ষয়-ক্ষতি কমানোর পদক্ষেপ নেয়া। এবিষয়ের বাইরেও আমাদের যে দুটি বিষয় অধিক দরকার তা হলো- প্রযুক্তি আর অর্থ তহবিলগত সহায়তা। আপনাদের থেকে আমরা কী ধরনের সহায়তা আশা করতে পারি?”
নাসার জলবায়ু কর্মসূচির মিশনের প্রতিক্রিয়ায়, বিজ্ঞানী ক্যালভিন বলেছিলেন, “প্রযুক্তিগত উন্নয়নের আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য আমাদের নিজস্ব মহাকাশ মিশন এবং অপারেশনগুলির চারপাশে। আমাদের মিশনের আরেকটি অংশ হ’ল মানবতার সেবা করা। আমরা সবসময় চিন্তা করি যে আমরা কী তৈরি করি। কীভাবে করতে পারি। এটি বিশ্বের মানুষের উপকারে ব্যবহৃত হবে।”
স্পেস স্টেশনে পরিষ্কার জল প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি পৃথিবীতেও প্রয়োগ করা হচ্ছে উল্লেখ করে, নাসার এই প্রধান বিজ্ঞানী বলেন, “স্পেস স্টেশনে ব্যবহৃত জল প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তি পৃথিবীর এমন জায়গায় ব্যবহার করা হচ্ছে যেখানে তাজা জলের অ্যাক্সেস নেই। জল।”
তিনি বলেন, “নাসা এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা এবং আফ্রিকায় USID-এর ‘SERVIR’ প্রকল্পের সাথে অংশীদারিত্ব করছে। সেখানকার মানুষদের সমস্যা সমাধানের জন্য স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা স্থানীয় জনগণের সাথে তাদের সমস্যা সমাধানে কাজ করছি।”
এই অনুষ্ঠানে ডাঃ ক্যালভিন আরো বলেন, তাদের সকল কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী এবং জনবান্ধব। “আমরা আমাদের কাজগুলিকে সহজ করার চেষ্টা করছি যাতে লোকেরা তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং সংস্থানগুলি অ্যাক্সেস করতে পারে,” তিনি বলেছিলেন।