২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রামের জিইসির মোড় এলাকায় প্রকা’শে’ হ”ত্যা”র শি’কা’র হন মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় শশুরের দায়ের করা এক মামলা’য় এই মুহূর্তে কারাগারে রয়েছেন পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। দাম্পত্য কলহ ও পরকীয়ার জের ধরে মি’তু’কে দুনি’য়া থেকে সরিয়ে দেয়ার মূল প্রকল্পনা করেন তিনি নিজেই।
এদিকে মিতুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- কামরুল ইসলাম শিকার ওরফে মুছা সিকদার ও খায়রুল ইসলাম কালু। এ ধটনার পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়নে জড়িত সাতজনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও সাত বছর ধরে পলাতক রয়েছে মুছা এবং কালু। তবে মুছা-কালো নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বক্তব্য পাওয়া গেছে। মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা আবু জাফর ওমর ফারুক বলেন, তদন্তকালে আমরা মুছা ও কালুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় জড়িত থাকার কারণে অভিযোগপত্রে তাদের নাম এসেছে।
এএ সূত্রে জানা যায়, মিতু হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি মুছা এই মিশনে নেতৃত্ব দেন। তার নেতৃত্বেই মিতুকে প্রকাশ্যে শেষ করা হয়। এই মিশনে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা মিতুকে ‘কো”প” দেওয়ার পর তিনি প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কালু জাপটে ধরে মিতুকে মাটিতে ফেলে দেন। তাই দুজনকেই চার্জশিটে আসামি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি তদন্ত করে থানা পুলিশ, ডিবি এবং শেষ পর্যন্ত পিবিআই। গত সাত বছরে বাবুল আক্তারসহ পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু মুছা-কালুর ‘টিকিও ছুঁতে পারেনি কেউ’। তবে তাদের পরিবার বলছে ভিন্ন কথা। ঘটনার ১৭ দিন পর ২২ জুন পুলিশের পরিচয়ে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানা এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে মুছাকে তুলে নেওয়া হয়। একই সময়ে কালুকেও তুলে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তাদের সন্ধান পায়নি পরিবার। মুছার স্ত্রী পান্না আক্তার তাকে খুঁজতে ভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। মুছার স্ত্রী তাদের খোঁজে ব্যস্ত থাকলেও এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না তিনি।
তদন্তে জানা যায়, নগরের রাঙ্গুনীয়া উপজেলার বাসিন্দা মুছা। একটা সময়ে বিএনপির রাজনীতিতে বেশ সক্রিয় ছিলেন তিনি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরো বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ।