বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তার হাত ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। আর এই কারনেই দেশে তার অনুসারীর সংখ্যা সব থেকে বেশি।
এ দিকে এক স্কুল শিক্ষক নিজেকে হাজার বছরের বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বংশধর বলে দাবি করছেন। এক্সপ্রেসওয়েতে ব্যানার প্রদর্শন করে চলছে প্রচারণা। এমনই একটি ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনার সূত্র ধরে ওই ব্যানার খোঁজার চেষ্টা করেন অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদক। ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রাম বাজারের কাছে এমন দুটি ব্যানার দেখা যায়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষক শেখ রেজাউল করিম বিডি২৪লাইভকে বলেন, ছোটবেলা থেকেই ইতিহাসের প্রতি তার প্রবল আগ্রহ ছিল এবং তিনি ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃত বিষয়ে ডাবল স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. নাসির উদ্দিন মুন্সীর তত্ত্বাবধানে ইতিহাসের উপর পিএইচডি গবেষণা করছেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে গবেষণা এবং দাদা-দাদি ও মায়ের কাছ থেকে শোনা গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গবেষণা শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু বংশপরম্পরা ও পূর্বপুরুষ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। এর পর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বংশধরের পরিবারের সাথে সংযোগ খুঁজে পান।
তার গবেষণার দাবি অনুযায়ী, শেখ হাবিবুর রহমানের ছেলে শেখ নেপাল গোপালগঞ্জ থেকে এসে ভাঙ্গা উপজেলার চন্দ্রা ইউনিয়নের দীঘলকান্দা গ্রামে বসতি স্থাপন করেন এবং গোপালগঞ্জে বসবাসরত টুঙ্গিপাড়া শেখ পরিবারের আরেক সদস্য শেখ জীবন নেছার সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের দুই ছেলে শেখ আলেপ এবং শেখ গরীবুল্লাহ এবং এভাবে তাদের পরিবারের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
এই শিক্ষকের দাবি কোনো প্রত্যাশার কারণে নয়, ইতিহাসকে ভালোবাসে ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে মুজিব শতবার্ষিকীর উপহার হিসেবে এই ব্যানার টানিয়েছি।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের আলোচনা-সমালোচনা পরিহার করতে হবে।
এ দিকে এই গবেষনা দিয়ে তিনি কোন কিছু প্রমান করতে চাইছেন না বা সুবিধা পেতেও চাইছেন না। মুলত ইতিহাস ধরে রাখাই তার একমাত্র লক্ষ বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া তিনি আরো বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে তিনি তার গবেষণা উন্মোচন করেন এবং কি গবেষণা এখনো চলমান খুব শীঘ্রই আপডেট করে প্রকাশ করবেন গবেষণা।