আগে মানুষ সিল ও সইয়ের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ ভোট দিয়ে থাকত। কিন্তু বর্তমানে আবিষ্কৃত করা হয়েছে ইভিএম নামক একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র যেইটার সাহায্যে ভোট দিতে হয় বা ভোট গ্রহণ করা হয়। ইলেকট্রনিক যন্ত্র হওয়ায় অনেক সময় দেখা দেয় জটিলতা এবং অনেকে এর ব্যবহারও বুজতে পারেনা। সম্প্রতি এক ভোটার ভোট কেন্দ্রে যেয়ে ইভিএম জটিলতায় পরায় তাকে বলা হয় আপনার কপাল খারাপ আপনি চলে যান।
‘আমি সকাল ৮টায় আসছি। আঙুল আসে না। আমি আটবার হাত ধুয়েছি। অনেক চেষ্টা করছি। এখন বলছে তিনটার পর ফিরতে। তোমার ভাগ্য কত খারাপ, চলে যাও। আবার তিনটা বাজে। কারণ মানুষ এক ভোটের জন্য পড়ে। আমি ভোট দেব। কিলিগা দিতাম না।
বাসায় গিয়ে ধুমু হাতে অনেকক্ষণ। ধুইয়ে আমু। ভোট দিতে এসে এভাবেই দুঃখ প্রকাশ করছিলেন টিক্কর চরের তুহিন
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোটে ধীরগতি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভোটাররা। অনেকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট না দিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। ইভিএমএ ভোটের ধীরগতিতে ভোটাররা হতাশা প্রকাশ করেছেন।
বুধবার কুমিল্লা মডার্ন স্কুলের আশপাশের কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। ভোটাররা বলছেন, প্রবীণদের মধ্যে সমস্যা আরও বেড়েছে। একাধিকবার আঙুলের ছাপ দিলেও তা মেলানো কঠিন। যাদের আঙুলের রেখা হারিয়ে গেছে তাদের জন্যও এটি একটি সমস্যা।
প্রসঙ্গত, অনেকেই মনে করেন যে ইভিএমের দ্বারা ভোট গ্রহণে রয়েছে বিবিধ প্রকারের সমস্যা ও জটিলতা। অনেক মানুষই ইভিএমের সম্বন্ধে বোঝেনা ফলে তারা ঠিক মতো ভোট দিতেও পারে না। এই মহিলা ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে পড়ে ইভিএমের জটিলতায়। তাই তিনি ভোট আর দিতে পারেননি। তাকে বলা হয়েছে আপনার কপাল খারাপ। বাড়ি চলে যান।