পদ্মা সেতু হলো বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্নের সেতু। এই সেতু নির্মিত হওয়ায় মানুষ অনেক উপকৃত হয়েছে। বিশেষ করে বানঘলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কষ্ট অভাবনীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জনেনত্রী শেখ হাসিনার জন্য পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি বিএনপি বলেছেন পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হয়নি প্রমাণ করতে পারলে ধন্যবাদ দিবে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা অতীতের মতো নির্বাচনী ফাঁদে পা দেব না। আমরা যা বলেছি, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন নয়, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন নয়। শেষ দিন পর্যন্ত থাকতে পারলে শেখ হাসিনার সরকার থাকতে পারবে না।’
‘তার (প্রধানমন্ত্রী) নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই। যাদুটিই তিনি করেছেন। নতুন জাদু করার ক্ষমতা নেই। তাই আমি সব রাজনৈতিক দলকে বলব, আপনারা এক জায়গায় অবিচল থাকুন- এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। ‘
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে প্রমাণ করতে পারলে বিএনপি তাকে ধন্যবাদ জানাবে। তিনি বলেন, ‘অনেকে বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ দিতে পারতেন। আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানাতে কোনো বাধা নেই। যদি বাধা না থাকে, তাহলে তাকে দাওয়াত দিতে বাধা কেন? সরকার আমার নেত্রীকে আমন্ত্রণ জানায়নি, আমাদের কয়েকজনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমরা যদি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করতাম, তাহলে কি আমরা রাজপথে হাঁটতে পারতাম? ‘
গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘দুর্নীতি আছে এমন প্রকল্পের জন্য মানুষ ধন্যবাদ দিতে পারে না। কোন খাতে কত টাকা খরচ হয়েছে তার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। কোন দুর্নীতি ছিল না- প্রমাণ করতে পারলে ধন্যবাদ। ‘
একজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের বক্তব্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউনূস, খালেদা জিয়া ও হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে মঞ্জুরি দিতে। তিনি কি অনুমোদন শব্দের অর্থ বোঝেন? খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছেন, তার মঞ্জুরি কী? ‘
দেশের ৪০ শতাংশ মানুষের পানি অবরোধের কথা উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, বিএনপিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন উদযাপনে যে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তা যদি বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ব্যয় করা যেত, প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করা যেত, সামান্য হলেও। ‘
সভায় সভাপতিত্ব করেন তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের নেতা মুহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটন। বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু নির্মাণ করার পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন হতে হয়। সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে তিনি সাহসিকতার সহিত পদ্মা সেতু বানিয়ে প্রমাণ করে দিলেন যে বাংলাদেশও পারে।