ঋষি সুনাক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর অনেকটা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ লাভ করেন। দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হওয়ার পর ঋষি সুনাক দেশটি পরিচালনার দায়িত্ব নেন। বেশ কিছু দিন তার নির্দেশনা অনুযায়ী সবকিছু চললেও এবার নতুন করে তার বিরুদ্ধে বিরোধিতা দেখা দিয়েছে।
এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ঋষি। কিন্তু এরই মধ্যে নিজ দলের এমপিদের বিদ্রোহের মুখে পড়েছেন তিনি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে তার নিজের দলের সদস্যরা বিদ্রোহ করায় হাউস বিল্ডিং পরিকল্পনা সংক্রান্ত একটি বিল থেকে সরে আসতে হয়েছিল।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ঋষি সুনক সংসদে একটি হাউস বিল্ডিং স্কিম বিলের উপর ভোটের আয়োজন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার দলের এমপিরা বিল নিয়ে তার বিরুদ্ধে বি”দ্রোহের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ফলে আপাতত তা থেকে সরে এসেছেন তিনি। মোট ৫০ জন সাংসদ এর বিরো’ধিতা করেন। যার মধ্যে মন্ত্রী পরিষদের সাবেক আট সদস্য রয়েছেন।
আর নিজ দলের সদস্যরা বিদ্রোহ করার পর প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আপাতত এই পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন। বুধবার (২৩ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বিলটি নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কথা ছিল। আগামী সোমবার এ বিষয়ে ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংসদ সদস্যরা বিদ্রোহী হওয়ায় বিলের ওপর ভোট বিলম্বিত হবে। এমনকি এটি আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য বন্ধ হতে পারে।
অন্যদিকে, লেবার পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিসহ ব্রিটেনের বিরোধী দলগুলো বলছে, ব্রিটেনের সমস্যার সমাধান প্রধানমন্ত্রীর পরিবর্তন হবে না, তার জন্য তারা চায় নতুন সাধারণ নির্বাচন। ইতিমধ্যেই কিছু জরিপে দেখা গেছে বহু বছর পর জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছে লেবার পার্টি।
ঋষি সুনাক বেশ আগে থেকেই ব্রিটেনে রাজনীতির সাথে জড়িত। ২০১৫ সালের দিকে তিনি প্রথমবারের মতো উত্তর ইংল্যান্ডের কাউন্টি রিচমন্ড নামক এলাকায় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর রাজনীতিতে নিজেকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান তিনি। বরিস জনসন যে সময় ক্ষমতায় ছিলেন সেই সময় তিনি পদোন্নতি পেয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রধান সম্পাদক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এরপর ২০২০ সালে তাকে অর্থমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়।