বরগুনার বিতর্কিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃ’ত্যু’দ’ণ্ড’প্রা’প্ত’ আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদনের শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিক ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনের শুনানি নাকচ করেন।
আদালতে মিন্নির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন ও অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। রায়ে ১০ প্রাপ্তবয়স্ক আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃ’ত্যু’দ’ণ্ড ‘দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাকি ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
পরে নিয়ম অনুযায়ী একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃ’ত্যুদ’ণ্ডা’দে’শ’ ‘মঞ্জুর করতে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছায়। এছাড়া গত ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
খালাস পান- মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনার ঘটে এই ঘটনা। সে সময়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পরে এই ঘটনার রেশ। আর সেই থেকেই সবখানে শুরু হয় বেশ আলোচনা সমালোচনা। এরপর থেকে একে একে ধরা পড়তে থাকে ঘটনার পেছনে থাকা অনেকে। তবে শুরুতে মিন্নিকে সন্দেহের তালিকায় রাখা না হলেও একটা সময়ে পাওয়া যায় তার সম্পৃক্ততা।
সে সময়ে শুরুতে তিনি এই বিষয়টি অধিকার করলেও পরে প্রমান হয় এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিল মিন্নি নিজেই। আর সেই সময়ে তাকে শোনানো হয় সর্বোচ্চ শাস্তির রায়।