সোমবার বিকেল থেকে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ছে। পরে সন্ধ্যায়, ভিডিওটি কয়েকটি ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয় এবং মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি এখন বরগুনায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হাবিবুর রহমানকে বরগুনার 33তম জেলা প্রশাসক (ডিসি) হিসেবে নিয়োগ দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরপর ২০২৩ সালের ৯ জুলাই আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে বরগুনার জেলা প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা শাখায় উপসচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ৩০ জুলাই তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর উপসচিব পদ থেকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতিও পেয়েছেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বরগুনার একজন স্থানীয় বলেন, ভিডিওটি দেখেছি। একই বিছানায় থাকা অবস্থায় বরগুনার সাবেক জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সামনে ভিডিওটি রেকর্ড করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। তবে ভিডিওতে ওই নারীর পরিচয় এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ছাড়া ভিডিওটি কোথায় বা কোন ঘরে রেকর্ড করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হাবিবুর রহমান বরগুনার জেলা প্রশাসক হিসেবে আড়াই বছর কর্মরত ছিলেন। তবে তার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়ে বরগুনার কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি নন।
বরগুনার সাবেক জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান অভিযুক্তকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।
সুমন সিকদার নামে এক স্থানীয় ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বরগুনাবাসী জামালপুরের চিত্র দেখার অপেক্ষায় আছে।
জিয়াউদ্দিন মোল্লা নামে আরেক ব্যক্তি লিখেছেন, অপরাধীদের ভয় নেই। ভয় শুধু ভিড়ের। সবাই লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে। কিন্তু বলার সাহস হয় না!
এদিকে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরপরই বরগুনা কেন্দ্রিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।