শেষ অবধি বড় ধরনের সুসংবাদ পেলেন গাজীপুর আ.লীগের বহিষ্কার হওয়া সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। দলের তরফ থেকে বিশেষ বিবেচনায় ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিল। সেই সাথে তিনি তার স্থগিত মেয়র পদ ফিরে পাচ্ছেন। যার কারণে তার কর্মী-সমর্থকেরা দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
শনিবার (১৭ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত নেতাদের ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাধারণ ক্ষমার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুরের মৌচাক স্কাউট ক্যাম্প মাঠে সাংবাদিকের কাছে মুখ খোলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, গাজীপুরে জাহাঙ্গীর আলমের মেয়র পদে ফেরার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাকে মেয়র পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়নি। বরখাস্ত করা হয়েছে। সাময়িকভাবে বরখাস্ত যেসব কারণে করা হয়েছে, সেগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণভাবে কাজ করব। তৃণমূলকে শক্তিশালী করে সংগঠনের গতি বাড়াতে কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে একটি আধুনিক গাজীপুর গড়তে স্থানীয় মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও দলীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করবো। আমরা সম্মিলিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালনে আমি আন্তরিকতার সঙ্গে সবকিছু করবো।
তিনি আরও বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। গাজীপুর মহানগরীর ৫৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর মহানগরীকে একটি বাসযোগ্য আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তুলবো।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার পাত্র হন। যার কারণে তাকে আ.লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং সেই সাথে গাজীপুর পৌরসভার মেয়র পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা। এরপর তিনি অনেক অনুরোধ করেন তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার জন্য, কিন্তু সেই সময় দল থেকে কোনো সাড়া দেয়নি। তবে দলের বিশেষ সিদ্ধান্তে তিনি ফের তার হারানো পদ ফিরে পেলেন।