Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বরই খেয়ে অজানা এক ভাইরাসে আক্রান্ত, দুই বোনের মৃত্যু, বাবা-মা হাসপাতালে

বরই খেয়ে অজানা এক ভাইরাসে আক্রান্ত, দুই বোনের মৃত্যু, বাবা-মা হাসপাতালে

রাজশাহীতে বরই খেয়ে অসুস্থ হয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিপাহ ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হলেও চিকিৎসকরাও অজানা ভাইরাস নিয়ে চিন্তিত। ভাইবোনের মৃত্যুর পর তাদের বাবা-মাকেও হাসপাতালের নিপাহ ওয়ার্ডে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়া দুই শিশুর মৃত্যুর কারণ জানতে নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩০ নম্বর আইসোলেশন ওয়ার্ডে দুই শিশুর বাবা ও মাকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখা যায়।

 

মুনতাহা মারিশা (২) ও মুফতাউল মাশিয়া (৫) নামে ওই দুই শিশু রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের মঞ্জুর রহমানের মেয়ে। মনজুর রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। তার স্ত্রীর নাম পলি খাতুন। পরিবারের সবাই রাজশাহীর চারঘাটে সারদা ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারে থাকত।

চিকিত্সকরা জানিয়েছেন যে দুই নির্যাতিতা বাছাই করা বরইগুলি না ধুয়ে খেয়েছিল। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মঞ্জুর বড় মেয়ে মাশিয়া মারা যান। এর আগে গত বুধবার একই উপসর্গ নিয়ে মারা যান ছোট মেয়ে মারিশা। পরে শিশুটির বাবা-মা মঞ্জুর ও পলিকে হাসপাতালে নিপাহ আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে দ্বিতীয় মেয়ের মৃত্যুর পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় মেয়ের জানাজায়ও অংশ নিতে পারেননি তারা। শনিবার বিকেলে মাশিয়ার মরদেহ বাড়িতে পাঠিয়েছে স্বজনরা। সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়।

মঞ্জুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার মারিশা ও মাশিয়া কোয়ার্টারের কাছে তাদের তোলা বরই খেয়ে ফেলেন। পরের দিন বুধবার মারিশার জ্বর ও বমি হয়। পরে তাকে রাজশাহীর সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে শুক্রবার মাশিয়াকে জ্বর নিয়ে রাজশাহী সিএমএইচে আনা হলে সারা শরীরে ছোট ছোট কালো দাগ দেখা যায়। পরে চিকিৎসকরা তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠান। শুক্রবার রাতে রামেককে হাসপাতালে এনে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শনিবার বিকেলে মাশিয়াও মারা যান।

শিশু দুটি নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত বলে রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধারণা। তবে এটি অন্য কোনো ভাইরাস হতে পারে। এ ঘটনায় পরিবারের সবার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলে শিশু দুটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে তাদের বাবা-মায়ের শারীরিক অবস্থা ভালো। কিন্তু দুই সন্তানকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তারা।

About Zahid Hasan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *