প্রযুক্তির উন্নয়নের এই যুগে স্মার্ট ফোন একটি সর্বাধিক ব্যবহৃত প্রযুক্তি। এই একই ফোনের মাধ্যমে করা যায় অনেক কিছু। অনেকে এই ডিভাইসটি অপকর্মের কাজেও ব্যবহার করেন। বর্তমানে এই ডিভাইসটি দিয়ে খারাপ ভিডিও করে সেটা অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটছে। যার কারণে অনেকে আত্মহননের পথও বেছে নিচ্ছে। এবার তেমনই এমন একটি আপকর্মের ঘটনা ঘটলো পাঞ্জাবের চণ্ডীগড়ে।
বিএড পড়ুয়া এক তরুণীর বিরুদ্ধে মহিলা হোস্টেলের আবাসিকদের স্নান ও পোশাক বদলানোর ভিডিও ‘বন্ধু’কে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।ভারতের চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা হোস্টেলের ছাত্রীদের ‘গোপন ভিডিও’ নিয়ে তোলপাড় চলছে, তখন মাদুরাইয়ে ঠিক একই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় শোরগোল পড়ে গেছে।
অভিযুক্ত ঐ তরুনীর নাম কালীশ্বরী। তিনি মাদুরাইয়ের একটি বেসরকারি কলেজে বিএড করছেন। পুলিশ জানায়, কালিশ্বরী হোস্টেলে অন্যদের গোসল করার ভিডিও মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে আশিক নামে তার বন্ধুর কাছে পাঠাতেন। আশিকের বিয়ে হয় প্রায় ৩ বছর আগে। সম্প্রতি কালীশ্বরীর সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। আশিকের নিজস্ব ক্লিনিক আছে।
অভিযোগ, হোস্টেলের মেয়েদের ‘গোপন ভিডিও’ করার জন্য কালিশ্বরীকে চাপ দিতেন আশিক। কালিশ্বরী গোপনে অন্যদের স্নান ও পোশাক বদলানোর ছবি তুলে আশিকের কাছে পাঠাতেন।
কিন্তু কালিশ্বরীর গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ হয় অনেকের। সেই সন্দেহ থেকেই কালিশ্বরীকে চাপ দিলে তার মোবাইল ফোন থেকে হোস্টেলের মেয়েদের একাধিক ভিডিও ও ছবি উদ্ধার করা হয়। পরে হোস্টেলের ওয়ার্ডেন কালিশ্বরীর মোবাইল ফোন নিয়ে নেন এবং পুলিশকে খবর দেন।
অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে মাদুরাই পুলিশের সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এরপর আশিকের বিষয়টিও সামনে আসে। এরপরই গ্রেফতার করা হয় আশিক ও কালীশ্বরীকে।
সাম্প্রতিক সময়ে চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী হোস্টেলের তরুনীর বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ ওঠে। ওই ছাত্রী অন্য ছাত্রীদের গোসল করার ভিডিও করার মাধ্যমে পরে সেটা প্রেমিককে পাঠাতেন। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ৮ জন শিক্ষার্থী আত্মহননের চেষ্টা করে। ঘটনাটি নিয়ে এখনো চণ্ডীগড়ে চলছে উত্তাল অবস্থা। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে চণ্ডীগড়ের পুলিশ।