আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। তবে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে বড় দুটি দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। বিএনপি নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না অপর দিকে আওয়ামীলীগ সংবিধানের বাহিরে যেতে রাজি নয়। পাল্টা-পাল্টি অবস্থানের সমাধান রাজ পথে হওয়ার ঘোষনা্ দেওয়ায় রাজনীতি একটি সংঘাতের দিকে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন মহল ধারনা করছে। বিএনপি তাদের দাবি আদায়ে মাঠে নেমেছে কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার তাদের প্রতিহত করতে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করছে। খালি হাতে আসুন লড়াই হবে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস যা বললেন।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমাদের খালি হাত, আপনারাও খালি হাতে আসেন। পুলিশ ছাড়া আসেন। দেখি কার কত ক্ষমতা? আর যদি বলেন-লগি বৈঠা, সেটাও সই। আমরা নিয়ে আসবো। আমাদেরও ব/ন্ধুকের লাইসেন্স দিন, আমরাও ব/ন্ধুকের লাইসেন্স চাই। বন্ধুক দিয়ে বন্ধুক মোকাবিলা করবো। আমরা জয়লাভ করবো। তবে আমি যেটা বললাম, সেটা কথার কথা নয়। সমানে-সমানে লড়াই হবে।
আজ বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গু/লিতে নি/হত যুবদল কর্মী শাওন প্রধানকে হ/ত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় যুবদল এই সমাবেশের আয়োজন করে। বিক্ষোভ সমাবেশে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। নি/হত শাওন প্রধানের ভাই ফরহাদ হোসেনও সমাবেশে যোগ দেন। তিনি বলেন, শাওন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অন্য কোনো দলের সঙ্গে নয়। এ সময় ফরহাদ নিজেই স্লোগান দেন- শাওন হ/ত্যার বিচার চাই। তার সঙ্গে স্লোগান দেন যুবদলের নেতারাও।
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, রাজপথ ছেড়ে দেওয়া যাবে না, রাজপথে আমরা থাকবো। রাজপথ কারও নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। আপনারা সবাই রাজপথে আসুন, বাহাদুরের মতো আসুন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমাকে এক ছোট ভাই বলেছে-বুক পেতে দিয়েছি, আরও গু/লি করো। কিন্তু না আমরা আর গুলি খাওয়ার জন্য বুক পেতে দেবো না। আমাদেরও লাইসেন্স করুন।
তিনি বলেন, সরকারকে পতনের কোনো কর্মসূচি আমাদের ছিল না। জ্বালানি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এসব কর্মসূচি ছিল। ওই কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জে নূরে আলম, আবদুর রহিম ও শাওনকে গু/লি করে হ/ত্যা করা হয়। তার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশে এখন আ/গুন জ্বলছে। গতকাল সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় গু/লি করে আমাদের বহু নেতাকর্মীকে আহত করেছে, অনেকের নামে মা/মলা করছে। এই সরকার খু/ন, হ/ত্যা, হা/মলা চালিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়। তাদের টিকে থাকতে হবে। তাদের কথা হচ্ছে, আমি অন্য কিছু বুঝি না। আমার হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা চাই। কারণ ক্ষমতায় থাকলে লু/টপাট করা যায়। ব্যাংক লুট করা যায়, মানুষের পকেট কাটা যায়। আর মানুষের ওপর অ/ত্যাচার করা চায়।
তিনি আরও বলেন, তিনজন নি/হত হয়েছেন। সরকারকে পতনের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু এই সরকারের কিছু যায় আসে না। উল্টো তারা কি বলছে- পুলিশকে মা/রলে কি তারা কি ছেড়ে দেবে।যে অস্ত্র দিয়ে গু/লি করেছে, সেটা তো একটা যু/দ্ধাস্ত্র। এটি যু/দ্ধে ব্যবহৃত হয়। চাইনিজ রাইফেল, পুলিশ-ডিবির হাতে কেন? ব্রিটিশ সরকার অনেক শক্ত সরকার হলেও তারা পুলিশের হাতে একটা ব্যাট ছাড়া আর কিছুই দেয়নি।
মির্জা আব্বাস বলেন, তার কোনো ক্ষমতা নেই আমার গায়ে হাত দেওয়ার। বিনা বিচারে কাউকে হ/ত্যা করা যাবে না। সব হ/ত্যার বিচার হবে। এই সরকারের পতন ঘটানো হবে।
প্রসঙ্গত, সরকার ক্ষমতা টিকে থাকতে রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে এমন কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না দেশের জনগন বুঝতে পেরেছে এই সরকার চরিত্র।