বিমানবন্দরে বিমান নামার পর হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান বিমানে অবস্থান করা যাত্রীরা। এরপর বিমানের একটা বিশেষ অংশে বড় ধরনের ছিদ্র দেখা যায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাই থেকে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনগামী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
বিমান বন্দরে অবতরণের পর হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পান যাত্রীরা। এর পরই বিমানে দেখা যায় বিমানে বড় একটি ছিদ্র। দুবাই থেকে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনগামী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে এই ঘটনা ঘটে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেডেন্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। ইন্ডিপেনডেন্টের মতে,
গত ১ জুলাই এ ঘটনা ঘটে। বিমানটি দুবাই থেকে ১৪ ঘণ্টা উড্ডয়নের পর নিরাপদেই ব্রিসবেন পৌঁছায়। অবতরণের সময় বা অবতরণের একটু পরই এই ঘটনা ঘটে বলে কয়েকজন যাত্রী জানিয়েছেন। প্যাট্রিক নামে বিমানের এক যাত্রী অস্ট্রেলিয়ার কুরিয়ার মেইলকে জানান, তিনি উড্ডয়নের প্রায় ৪৫ মিনিটের দিকে একটি শব্দ শুনতে পান। তার মতে শব্দটি এতো জোরে ছিল যে বিমানের মেঝেও কম্পন অনভূত হয়। তবে বিমানের ক্রুরা শান্ত ছিলেন। তারা খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
এছাড়া তারা বিমানের পাখা ও ইঞ্জিনও পরীক্ষা করেন বলেও জানিয়েছেন প্যাট্রিক। ছিদ্রটি বিমানের বাম পাশের পাখার কাছে যেখানে বিমানের যে অংশে ইঞ্জিন ছিল সেখানে সৃষ্টি হয়। এভিয়েশন হেরাল্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, পাইলটরা অবতরণের কিছুক্ষণ আগে ব্রিসবেন বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তারা সন্দেহ করছিলেন যে উড্ডয়নের সময় হয়তো বিমানের কোনো টায়ার ফেটে গেছে। তারা বিমানবন্দরের জরুরি পরিষেবা প্রস্তুত রাখার জন্যও অনুরোধ জানান। এমিরেটসের মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে বিমানটি বর্তমানে ব্রিসবেন বিমানবন্দরেই রয়েছে। তবে ছিদ্রটি বিমানের ফুসেলেজ, ফ্রেম বা কাঠামোর উপর কোনো প্রভাব ফেলেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলেও জানা গেছে।
উল্লেখ্য, উড্ডয়নের কিছু সময় পরেই একটা বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন বিমানের ক্যাপটেন, ক্রুসহ অবস্থানরত যাত্রীরা। এসময়ে বিমানের ফ্লোরেও কম্পন অনুভুত হয়েছিল। তবে এসময়ে বিমানে অবস্থানরত সবাই রীতিমত স্বাভাবিক ছিল। ক্যাপ্টেন ভেবেছিল উড্ডয়নের মুহুর্তে হয়তোবা বিমানের চাকার অংশ ফেটে গিয়েছিল। এই ঘটনায় জরুরী অবতরনের জন্য ক্যাপ্টেন বিমানবন্দরে জানিয়ে রেখেছিলেন।