গতকাল রাত থেকে রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত একটি হোটেলে জ”/ঙ্গিরা অবস্থান করছে এমন সন্দেহের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঐ হোটেলটিকে পুলিশ চারিদিক থেকে ঘিরে রাখে। এরপর শেষ হয় অভিযান পরিচালনা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো কিছুই পাইনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। ডিএমপি র গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আবদুল আহাদ এই অভিযান সম্পর্কে বলেন, এটি একটি নিয়মিত অভিযান।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় অভিযান শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আমরা বনানী-কাকলী এলাকায় বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। আসলে এটি একটি রুটিন অপারেশন। জ”ঙ্গি, স’/ন্ত্রা’সী কিংবা নিষিদ্ধ দ্রব্যের কারবারি আছে এমন খবর পাওয়া মাত্রই আমরা ব্লক রেইড দিচ্ছি। আজকের বিষয়টি মিডিয়াতেও কাভার করা হয়েছে।
উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল আহাদ বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পেলেই পুলিশ অবরোধ করে তল্লাশি চালায়। এখানেও আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেছি। আমাদের তথ্য ছিল জ”ঙ্গি, স”ন্ত্রা/সী, চাঁদাবাজ, নিষিদ্ধ দ্রব্যের ব্যবসায়ী থাকতে পারে।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছি। তারপর অভিযান পরিচালনা করেছি। কাকলী-বনানী এলাকায় ২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েছি। এই হোটেল ছাড়াও বেশ কিছু হোটেল, মেসে অভিযান চালিয়েছি। আমরা যাদের খুঁজছিলাম তাদের খুঁজে পাইনি। আজকের অভিযানে কাউকে আটক করা যায়নি। অন্যান্য এলাকায় এখন অভিযান চালানো হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশে জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে সেটা আমরা বিভিন্ন সূত্রে এমন খবর পেয়েছি। সেই কারণে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে তারা নিজেদেরকে কঠোর আত্মগোপনে রেখে কাজ কৌশলে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বসে নেই।