প্রায় এক মাস হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মাত্র ২৪ বছর বয়সেই পরলোক গমন করেন ভারতীয় বাংলা ধারাবাহিক নাটকের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। তাকে হারানোর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনো কাটেনি শোকের রেশ। বিশেষ করে তাকে হারিয়ে রীতিমতো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী।
জানা গেছে, আগামী বছরই বিয়ের পিঁড়িতে বসার পরিকল্পনা করেছিলেন সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলা। দুই পরিবার তাদের চার হাত এক করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঐন্দ্রিলার বাবা উত্তম শর্মা ও মা শিখা শর্মা।
ঐন্দ্রিলার বাবার কথায়, ফেব্রুয়ারি-মার্চে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সব্য-ঐন্দ্রিলার। সেভাবেই দুই পরিবারে শুরু হয় প্রস্তুতি। কিন্তু চার হাত এক হওয়ার পরিবর্তে মাঝরাস্তায় সব্যসাচীর হাত ছেড়ে চিরতরে বিদায় নিলেন ঐন্দ্রিলা।।
সব্যসাচী গত কয়েক বছর ধরে ঐন্দ্রিলার ছায়াসঙ্গী ছিলেন। প্রয়াত এই অভিনেত্রী তার জীবনের প্রতিটি সংকটময় মুহূর্তে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। শেষ প্রিয়জনের সুস্থতার অপেক্ষায় ছিলেন সব্যসাচী। কিন্তু চিকিৎসকদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে পৃথিবী ভ্রমণ শেষ করেন ঐন্দ্রিলা।।
কিন্তু ঐন্দ্রিলার সঙ্গে কম লড়াই করেননি সব্যসাচী। হাসপাতালেই প্রেমিকার সঙ্গে দিনরাত কাটিয়েছেন। কখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয়জনদের নিয়ে নানা আলোচনা দেখে রেগে গেছেন, আবার কখনো অসহায় মানুষের মতো দোয়া চেয়েছেন। কিন্তু সব্যসাচী আসল সত্য মেনে নিলেন। শেষ বিদায়ে নিজের হাতে সাজিয়েছেন বান্ধবীকে। প্রিয়জনকে হারিয়ে তিনি এখন একা। পৃথিবীতে একটি অনুকরণীয় প্রেমের গল্প অসম্পূর্ণ থেকে গেল।
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর আগের রাতে, সব্যসাচী তার অসুস্থতা সম্পর্কে তার সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট মুছে ফেলেছিলেন। অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর তার ফেসবুক আইডিও সরিয়ে ফেলা হয়। পরে, অভিনেতা তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও মুছে ফেলেন। বলা যায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন সব্যসাচী।
উল্লেখ্য, বিগত অনেকদিন ধরেই মরণঘাতী ক্যানসারের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। আর এরই মধ্যে গত ১ নভেম্বর রাতে হঠাৎই স্ট্রোক করে বসেন তিনি। এরপর গত ২০ নভেম্বর ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান গুণী এই অভিনেত্রী।