Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বদলে যেতে পারে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত, জানা গেল কারণ

বদলে যেতে পারে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত, জানা গেল কারণ

মোহাম্মদ আলমগীর যিনি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন, তিনি বলেন, সচিবালয় থেকে সময় মতো এবং যদি ঠিকঠাক সময় ইভিএম মেশিন সরবরাহ করতে পারে তাহলে পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫০ টি আসনে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে। যদি সচিবালয় ইভিএম মেশিন দিতে অক্ষম হয় তাহলে ৭০ থেকে ৮০ টি আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ সম্ভব হবে।

রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে যেসব এলাকায় এর আগে স্থানীয় বা জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৭০-৮০টি এবং সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে এই ভোটিং মেশিন ব্যবহার করা হবে।

মো: আলমগীর বলেন, সর্বোচ্চ দেড়শটি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ কারণে নতুন প্রকল্প নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ইভিএম কেনার বিষয়টি কমিশনের নয়। ইসি সচিবালয় দেখছে। তারা আমাদের কাছে একটি নির্দেশিকা চাইতে পারে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই অনুযায়ী ইভিএমের নতুন পরিকল্পনা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। সচিবালয় দিতে পারলে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ভোট হবে। কারণ, শুধু টাকা নয় সব কিছু পেলে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসন পাওয়া যাবে।

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, সরকার টাকা না দিলে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু প্রকল্প পাস না হলে বা বৈশ্বিক ক্রাইসিস পরিস্থিতিতে যদি অর্থ ছাড়া না হয় কিংবা সব পেলাম কিন্তু হার্ডওয়্যার যদি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি বিদেশ থেকে না আনতে পারে তাহলে তো হবে না। কিন্তু বর্তমানে আমাদের যে ক্ষমতা আছে তা নিশ্চিতভাবে ৭০-৮০ আসনে ভোট নেওয়া সম্ভব। আমাদের যা ইভিএম আছে তা দিয়ে ৭০-৮০টাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ১৫০ আসনের ইভিএম পাওয়া গেলে আমরা এটা করতে পারবো। কারণ ইভিএম হাতে নেই। কোন কোন আসনে ইভিএমে ভোট হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। ক্রাইটেরিয়া ডিপেন্ড করবে। যেসব এলাকায় ইভিএমে ভোট হয়েছে সেখানেই হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি নির্বাচনী এলাকা, স্বাভাবিকভাবেই ইউপিসহ পৌরসভা বিবেচনায় নেওয়া হবে।

সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ৩০০ আসনের সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা রাখার ইচ্ছা আছে। কিন্তু এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সম্ভব হলে সব ভোটকেন্দ্রে দেব। এটা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দেব। কারণ সংরক্ষণ, মেরামতের ব্যাপার আছে। ভোট দেওয়ার পর তারা সিডি দেবে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যেমন দেওয়া হয়েছে। সব কিছুর রেকর্ড থাকবে।

আরেকটি প্রশ্ন করা হলে, তার জবাবে তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরী করা হয়েছে। সেটা যদি ফলপ্রসূভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে সার্বিক নির্বাচন একটি সুন্দর ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত হবে। যদি কেউ ভুল ধরানোর সক্ষমতা রাখেন, তাহলে এসে ভুল ধরিয়ে দিতে পারবেন। রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন রোডম্যাপের বিষয়টি প্রকাশ করার অপেক্ষায় রয়েছে। প্রিন্ট করার পর শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। এ বিষয়টিও সচিবালয় থেকে দেখা হচ্ছে।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *