কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে সারা বিশ্ব উত্তে”জনায় মেতেছে। আর মাত্র বাকি রয়েছে চারটি ম্যাচ। যার মধ্যে দুইটি সেমিফাইনাল, আরেকটি হলো তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলা এবং অন্যটি হলো চূড়ান্ত ফাইনাল, যেটা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে নানা ধরনের ভাবন সৃষ্টি হচ্ছে। আর এই ফুটবল খেলায় প্রধান যে আকর্ষন, সেটা হল বল। কারণ মাঠে খেলোয়াড়, রেফারি কিংবা দর্শক যারাই থাকুক না কেন তারা সবসময় তাকিয়ে থাকেন ফুটবলের দিকে।
এবার কাতার বিশ্বকাপে বিশেষ প্রযুক্তির বলটির নাম ‘আল রিহলা’, যা বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ফুটবল। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত আল রিহলা চার্জিং সিস্টেম বল দিয়ে মোট ৬০টি ম্যাচ খেলা হয়েছে। কিন্তু এখন থেকে আল রিহলা বল দেখা যাবে না।
ফিফার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বলের কাঠামো বা অন্য কোনো ব্যাপারে বদল আনা হয়নি। শুধু ডিজাইনে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। শেষ চার ম্যাচের বলের গায়ে সোনালি আভা দেখা যাবে। নতুন বলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আল হিম’, যার অর্থ স্বপ্ন।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস এই বিশেষ বলটি তৈরি করেছে। অ্যাডিডাস আল হিলম নামের বলটিতে আইএমইউ সেন্সর ব্যবহার করেছে, যা সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি।
নতুন এ-বল সংযোজন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে খেলোয়াড়দের আরও সঠিক অবস্থান এবং সঠিক অফসাইড সনাক্তকরণ সক্ষম করবে। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার মতে, স্থানীয় পরিবেশ এবং তাপমাত্রার কথা মাথায় রেখে বলের নকশা করা হয়েছে।
কিন্তু ‘আল রিহলা’ নামের বলের মতোই এতে সেন্সর রয়েছে, যা ম্যাচের প্রতিটি মুহূর্তে অনেক তথ্য দেবে।
আল হিলাম বলের সোনালি ত্রিভুজাকার নকশা দোহা শহরের চারপাশের ঝকঝকে মরুভূমির দিকে ইঙ্গিত করে। এছাড়া বিশ্বকাপ ট্রফির রঙ এবং কাতারের জাতীয় পতাকার প্যাটার্নে অনুপ্রাণিত বলের নকশা করা হয়েছে। প্রতি বিশ্বকাপে ফুটবল সরবরাহের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বলে নতুনত্ব নিয়ে আসে।
এই প্রথম কাতার বিশ্বকাপে ফুটবলে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, যেটাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সেন্সর। ফুটবলের অবস্থান স্পষ্ট করতে ব্যবহার করা হয়েছে এই প্রযুক্তি। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত ফুটবলের সেন্সর থেকে গ্রহনকৃত ফলাফল থেকে নেয়া হয় হয়েছে। এদিকে ভবিষ্যতে ফুটবলে আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করার দিকে যাচ্ছে ফুটবল সংস্থা ফিফা।