বাংলাদেশের জাতির পিতা হলেন বীর বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। তিনি বাংলার স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে করেছেন সীমাহীন আত্মত্যাগ। তার মতো এরকম আত্মত্যাগ অন্য কোন দেশের জাতীর পিতা করেছেন কিনা সন্দেহ আছে। বাংলার মানুষকে তিনি অনেক ভালোবাসতেন। সম্প্রতি জানা গেল বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়েজ করপোরেশন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কের (ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি)।
বুধবার (২২ জুন) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, কেসিকে টোল আদায়, ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) এবং বঙ্গবন্ধু হাইওয়ের এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আগামী পাঁচ বছরের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরাসরি ক্রয় ব্যবস্থার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর জন্য কোম্পানিটিকে ৭১৭ কোটি ৪ লাখ ৯৯৯ টাকা দিতে হবে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, বৈঠকে অর্থনৈতিক কমিটির অনুমোদনের জন্য দুটি এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। সব প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে.
তিনি আরও জানান, অনুমোদিত প্রস্তাবের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের চারটি, স্থানীয় সরকার বিভাগের চারটি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তিনটি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তিনটি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব রয়েছে।
মো. জিল্লুর রহমান আরও জানান, ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৫টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৬ হাজার ৭৫০ কোটি ২৪ লাখ ৯ হাজার ৩০৬ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে ১ হাজার ১২৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার ৫০৯ টাকা ও বৈদেশিক অর্থায়ন থেকে পাওয়া যাবে ৫ হাজার ৬২০ কোটি ৮৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৭ টাকা।
প্রসঙ্গত, পদ্মা সেতু যেমন একটি বিস্ময় তেমনি পদ্মা সেতুতে যাবার আগে নির্মাণ করা রাস্তাগুলোও কেড়ে নিবে দৃষ্টি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণে কোনো আপোষ করেননি, সর্বোচ্চটা দিয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন।