মাদারীপুরের রাজৈরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাংচুর ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করেছে সোহরাব খালাসী (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা। অন্যদের ফাঁসানোর জন্যই তিনি এই কাজটি করেছেন।
এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সোহরাব রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের রাজারবাজার এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয় ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজারবাজার এলাকার আব্দুস সালাম খালাসী নামে এক বাদী আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব খালাসীসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে রাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব খালাসী ও মামলার বাদী সালাম খালাসীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। বদরপাশা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়।
দুজনকে প্রাথমিক তদন্তে ও জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, সম্প্রতি সালাম খালাসী বাদী হয়ে সোহরাব খালাসীর বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের একটি মামলা দেন। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ কারণে সোহরাব খালাসী নিজেই সালাম খালাসীকে ফাঁসানোর জন্য আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ তোলেন। পরে শুক্রবার রাতে সোহরাব খালাসীকে আটক করে পুলিশ। পরে শনিবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী সালাম খালাসী বলেন, সোহরাব নিজেই আমাকে হয়রানি করতে লোকজন নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাংচুর করেছে। সোহরাব চেয়েছিল পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করুক। কিন্তু আমরা ভিডিও সহ পুলিশের কাছে ভাংচুরের আলামত দিলে সোহরাব নিজেই তার অপকর্মে ধরা পড়ে। যে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে তার বিচার চাই।
রাজৈর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, দুইজনের দ্বন্দ্বের জেরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করা হয়। আমরা মূল আসামিকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করেছি। এই ঘটনার মূল অভিযুক্তদের সঙ্গে থাকা অন্যদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।