কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হ”ত্যা করেছে তারা আমার বোনের (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আশেপাশেই আছে। কিন্তু আমি কিছুই করতে পারছি না। কিন্তু আমার এলাকার একটি শিশু (সামিয়া, স্কুলছাত্রী যার গত শুক্রবার লা”শ পাওয়া গেছে) মরে যাবে আর পুলিশ ভুঁড়ি ভাসাইয়া হাঁটবে-এটা হতে পারে না। সেই পুলিশের এখানে (সখীপুরে) থাকার দরকার নেই।’
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সখীপুর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নের মাঝিরচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে শি”শু সামিয়া হ”ত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ২৫ বছর বয়সে আমার মনে হয়েছিল, দেশের মা-বোনদের সম্ভ্রম রক্ষা করতে না পারলে আমার বাঁচার কোনো প্রয়োজন নেই। তার জন্যই মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কিন্তু আমি এই দেশ চাইনি, যেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা থাকবে না। রাজা-বাদশাহর মতো সাধারণ মানুষেরও মাথার ওপর পা দিয়ে কেউ চলতে পারবে না। আমার মায়ের মৃত্যুতে আমি যে কষ্ট পেয়েছিলাম, সামিয়ার মৃত্যুতেও ঠিক ততটুকু কষ্ট পেয়েছি। পুলিশ ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও সামিয়া হ”ত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে জুতা বানাইছে, ডুগডুগি বানাইছে তারা আমার বোনের পাশে। পাশে নিয়ে যদি তার ভালো হয় তাহলে আমি কী করতে পারি। যারা বঙ্গবন্ধুকে হ”ত্যা করেছে তারাও আমার বোনের পক্ষে। আমি কিছুই করতে পারি না। আমি আমার বোনকে মায়ের মতো শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমার এলাকার সাধারণ মানুষের সন্তান সামিয়ার খু”নিরা পার পাবে না। বিচার তাদেরই হতে হবে, তারা যেই হোক না কেন। তারা আওয়ামী লীগ করলেও, বিএনপি করলেও, এমনকি আমার বোনের (প্রধানমন্ত্রী) নাতি হলেও।
কাদের সিদ্দিকী স্থানীয় সংসদ সদস্যকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জোয়াহের সাহেব তিমি এই এলাকার এমপি। তুমি যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারো তাহলে তোমারও বিচার আছে। সাত দিন সময় দিয়েছি, এর বিচার চাই।
প্রতিবাদ সমাবেশে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীরপ্রতীক, খুন স্কুলছাত্রী সামিয়া রঞ্জু মিয়ার বাবা, মা রূপা বেগম, সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. সানোয়ার হোসেন সজীব, আশিক জাহাঙ্গীর, কামরুজ্জামান কামরুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে বেসরকারি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে সখীপুর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সামিয়াকে অপহরণ করা হয়। দুদিন পর বাড়ির পাশের জঙ্গলের একটি ড্রেন থেকে তার পুঁতে রাখা নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।