স্ত্রী হলো একজন পুরুষের জীবনে একটি আশীর্বাদ স্বরুপ। তবে এক্ষেত্রে স্ত্রীর চারিত্রিক স্বভাব ভালো হতে হবে। একটি ভালো স্ত্রী পাওয়া সলেই খুব ভাগ্যের ব্যাপার। কপালে যদি একবার খারাপ জীবন সঙ্গী জুটেই যায় তাহলে জীবন আর জীবন থাকেনা, হয়ে যায় সম্পূর্ণ জাহান্নাম। সম্প্রতি ঘটে গেল এক দুঃখজনক ঘটনা। বউ ও শ্বাশুড়ীর জ্বালাতন সহ্য করতে না পেরে জীবন দিল এক যুবক।
মশিয়ার মোড়ল নামে এক যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহনন করেছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মশিয়ার মোড়ল (২৫) পাটকেলঘাটা থানার বাইগুনি গ্রামের মিজান মোড়লের ছেলে। তিনি সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস পরিবহনের গেটম্যান হিসেবে কাজ করতেন।
মৃত্যুর আগে মশিয়ার তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন, যার টাকা নেই তার কেউ নেই। আমি আমার বউ আর শাশুড়ির রাগে বাধ্য হয়েছিলাম। ছেলেটার মুখ দেখা গেল না।
এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। কয়েকদিন আগে স্ত্রী তার দুই বছরের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের তেলকুপিতে বাপের বাড়ি যায়। এরপর স্ত্রী থানায় অভিযোগ করেন। সোমবার দুপুরে পুলিশ ওই বাড়িতে এসে মশিয়ার মোড়লকে আজ থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। এ ঘটনার পর আজ ভোরে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহনন করেন।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। এছাড়া থানায় অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমার কাছে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। কোন এসআই তার বাসায় গেছেন, তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। এ ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, জীবনে সুখ ও শান্তির ব্যক্তিই যদি হয়ে ওঠে অশান্তির কারণ তাহলে তার থেকে বড় কষ্টের আর কিছু হতে পারে না। ঘরেই যদি শান্তি না থাকে তাহলে জীবনটা হয়ে ওঠে অতি বিষন্ন। আর সেই বিষন্নতাই কেড়ে নিল এই যুবকের প্রাণ।