ভারতের বিনোদন জগতে পরপর দু’দিন দু’জনের মৃত্যু। মঙ্গলবার বলিউড গায়িকা ও অভিনেত্রী মল্লিকা রাজপুতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয় তার ফ্ল্যাট থেকে। সোমবার নদী থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রযোজক ভেত্রি দুরাইসামির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ভারতীয় গণমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
মল্লিকা একই সাথে একজন গায়ক এবং ইউটিউবার ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতিবেশীর ডাকে মঙ্গলবার সকালে অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটে আসে পুলিশ। সেখান থেকে মলিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ তদন্ত করছে। পাঁচ বছর আগে তিনি প্রদীপ শিন্দে জনার্ধনকে বিয়ে করেন এবং সংসার শুরু করেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের কারণে গায়ক আত্মহত্যা করেছেন।
মেয়ের মৃত্যুতে মল্লিকার মা সুমিত্রা সিং বিধ্বস্ত। তাঁর কথায়, “ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। ঘরে লাইট জ্বলছিল। তারপর জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে মেয়েটির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেলাম। আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। অশান্তি সম্পর্কে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তাদের পরিবারে।”
অন্যদিকে, ৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের হিমাচল প্রদেশের কিন্নর জেলার কাশাং নালার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন পরিচালক ভেত্রি দুরাইসামি। তার গাড়ি 200 মিটার খাদে পড়ে যায়। পরে, ভেট্রির সহযাত্রী এবং চালকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও পরিচালককে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে শতদ্রু নদী থেকে ভেত্রি দুরাইসামির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
কিন্নর জেলা প্রশাসক অমিত কুমার শর্মা জানিয়েছেন যে সোমবার দুপুর ২টার দিকে মান্ডির সুন্দরনগরের মহুন নাগ অ্যাসোসিয়েশনের ডুবুরি দল মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, সিমলার ইন্দিরা গান্ধী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, ভেত্রির বাবা বাবা সাইদাই দুরাইসামি তার ছেলে নিখোঁজ হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। শিশুটিকে খুঁজে বের করার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করেন তিনি। হিমাচলের স্থানীয় মানুষের কাছেও সাহায্য চেয়েছেন তিনি।