বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার হলো পার্থ চ্যাটার্জির খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের নারী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে। এই নগদ টাকা এক কথায় পাহাড় সমান। এই টাকার উৎস কি, সে উৎস বের করার জন্য চালিয়ে যাচ্ছেন এইচডি আধিকারিকরা। শেষ পর্যন্ত এই টাকার উৎস নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন অভিনেত্রী অর্পিতা। অর্পিতা এই টাকার উৎস সম্পর্কে বলেন এটা চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে নেয়া টাকা।
সূত্রের খবর, অর্পিতা ইডিকে জানিয়েছেন যে দালালরা এসএসসির চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিত। দালাল, সরকারি কর্মচারী ও আমলাদের মাধ্যমে নেতা-মন্ত্রীদের কাছে টাকা যেত।
অর্পিতার বাড়ি থেকে নগদ ২১ কোটি ২০ লাখ টাকা এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে। সেই টাকার সিংহভাগই সরকারি খামে রাখা আছে। এদিকে অর্পিতার বাড়ি থেকে ৫৬ লাখ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা, ৭৯ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার, আটটি সম্পত্তির দলিল পাওয়া গেছে। অর্পিতা জানান, ৭ বছর আগে পার্থবাবুর সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। এদিকে অর্পিতার বাড়িতে এখনও টাকা গণনার কাজ চলছে বলে জানা গেছে। দুপুর নাগাদ আরও দুটি ক্যাশ কাউন্টিং মেশিন নিয়ে কর্তারা অর্পিতার ফ্ল্যাটে ঢুকলেন।
ইডি কর্তারা অর্পিতার কাছে জানতে চান পার্থবাবুর সঙ্গে তার সম্পর্ক কী। জবাবে অর্পিতা শুধু বলেন, ‘সাত বছর আগে একজন প্রোমোটারের মাধ্যমে পার্থবাবুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। ওই প্রোমোটার পার্থবাবুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।’ অর্পিতা আরও বলেন, এরপর ধীরে ধীরে তার এবং পার্থবাবুর মধ্যে ‘পারিবারিক সম্পর্ক’ তৈরি হয়। এদিকে অর্পিতার মা বলেন, ‘আমার মেয়ে মডেলিং করছে। ওড়িশায় কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছে সে। এদিকে পার্থবাবুর সঙ্গে অর্পিতার সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
অর্পিতার সাথে পার্থ চ্যাটার্জির ঠিক কী ধরনের সম্পর্ক রয়েছে সে বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে তদন্ত চলছে। অর্পিতার সাথে পার্থর ভিন্ন ধরনের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেক। এদিকে অর্পিতা ছাড়াও আরো এক নারির ঘনিষ্ঠতার তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে ওই নারীর নাম মোনালিসা দাস। তিনি সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত রয়েছেন এমন তথ্য ইডি প্রাথমিকভাবে পেয়েছে।