বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা এবং মডেল-অভিনেতা অর্ণব অন্তুর সংসার ভাঙ্গনের গুন্জন শুরু হয়েছে গতকাল অন্তুর একটি পোস্ট থেকে। তারা দু’জন ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর তারা দুজন একত্রে বেশ চুটিয়ে সংসার জীবন শুরু করেন কিন্তু তার গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আলাদাভাবে থাকেন বলে জানা গেছে। তবে আলাদা থাকার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্তুর করা পোস্টের মাধ্যমে কী সেই সম্পর্কের ইতি ঘটতে যাচ্ছে। যেটা নিয়ে এবার কথা বললেন পূজা।
এদিকে শুক্রবার মধ্যরাতের দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে অন্তু বলেন, সংসারের ইতি টানতে যাচ্ছেন। তিনি লিখেছেন, ‘মহানের কাছে সুস্থ ও সুন্দর জীবন কামনা করে আমাদের সাংসারিক যাত্রা আমার পক্ষ থেকে এখানেই ইতি টানলাম। ভালো থেকো।’
গতকাল সকাল থেকে অন্তুর ব্যবহার করা মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি এই ঘোষণার পর পূজা নিজেও বারবার অন্তুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়েও ব্যর্থ হন।
পূজা বলেন, ‘আমি কিছুই বুঝলাম না। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই অন্তুর স্ট্যাটাসটা চোখে পড়েছে। এর পর থেকে একের পর এক ফোন পাচ্ছি। বলতে গেলে এখন আমি ট্রমায় আছি। শুক্রবারেও অন্তুর সঙ্গে কথা হয়েছে। অথচ তখনো কিছু বলেনি আমাকে। অন্তুর পরিবারও স্ট্যাটাসটি নিয়ে বিব্রত।’
তবে সংসারে ইতি ঘটতে যাচ্ছে কি না সে ব্যাপারে পূজা বলেন, ‘অন্তু না চাইলে আমি আর এই সম্পর্ক দীর্ঘ করতে চাই না। তবে সে কেন বিচ্ছেদ ঘটাতে যাচ্ছে—তার সঠিক কারণ দিতে হবে। সে অন্য কোনো মেয়ের প্রেমে পড়লেও আমাকে জানাতে হবে। অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্কে সে এই সময়ের মধ্যে পড়েছে কিনা আমি সেটা জানি না। আমি আর দশটা মেয়ের মতো নই। সংসারজীবনে একজনের সঙ্গেই থাকতে চেয়েছি বরাবর। এখন অন্তু ফোন চালু করলে বিস্তারিত জানব। তারপর সিদ্ধান্ত নেব সংসার থাকবে কি থাকবে না।’
জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের কারণে আলাদাভাবে থাকতে শুরু করেছেন। তাদের মাঝে চলমান যে সমস্যা সেটা মিটমাট করার চেষ্টা করছে পরিবারের পক্ষ থেকে। সব মিলিয়ে আবারও একই ছাদের নিচে থাকার আশাও করেন গায়িকা পূজা। তবে, অন্তু যদি তাকে ডিভোর্স দিতে চায়, তাহলে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই পরিবারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে,এমনটাই বলেন পূজা। তার সাথে কোনো কথা না বলে বা পারিবারিকভাবে একটি ইতিবাচক বা নেতিবাচক সমাধানে না এসে এমন স্ট্যাটাস দেওয়া উচিত হয়নি বলে জানিয়েছেন পূজা।