পরিবার-পরিজনদের আড়ালে এক তরুণীর সঙ্গে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন সরোয়ার হোসেন কাজল নামে এক যুবক। এদিকে গতকাল শুক্রবার (২৬ আগস্ট) প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে তার নানার বাসায় যাওয়ার কথা ছিল কাজলের। আর এজন্য কাজলকেও ফোনও করেছিলেন ঐ তরুণী। কিন্তু কখনও ভাবতেও পারেননি প্রেমিককে এভাবে দেখবেন তিনি।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ কাজলকে জানালা দিয়ে ঝু’ল’তে দেখেন প্রেমিকা। আর এটা দেখেই চিৎকার দিয়ে উঠেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে শরীয়তপুরের ডামুড্যায়। তবে কাজলের পরিবারের দাবি, তাকে ডেকে মেরে ফেলা হয়েছে।
প্রেমিকার মা বললেন, আমি কিছু জানি না। আমার মেয়ে কাজল মারা যাওয়াতে পাগলের মতো করছে। আমি তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছি।
জানা যায়, ওই মেয়ের সঙ্গে কাজলের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির পরিবার বিষয়টি জানলেও ছেলেটির পরিবার তা জানে না। বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালী থেকে বাসায় আসেন কাজল। শুক্রবার রাতে কাজলকে তার বাড়িতে আসতে ডেকেছিল তার প্রেমিকা।
তার বাড়ির পাশেই কাজলের বাড়ি। রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রেমিকার চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে কাজলকে জানালা দিয়ে ঝু’ল’তে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ক’মপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ম’য়’নাত’দন্তের জন্য ম’র্গে পাঠায়।
কাজলের ভাই শহিদুল বলেন, আমার ভাই ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেম করেছে তা আমরা জানতাম না। আমি লোকেদের কাছে শুনেছি যে তাদের মধ্যে পাঁচ বছরের সম্পর্ক ছিল। আমার ভাই কখনো তার পরিবারকে জানায়নি। কাল রাতে খাওয়া শেষ করে শু’য়ে পড়লাম। হঠাৎ ফোন এলো এবং সে বাসা থেকে বের হয়ে গেল। বেলা ১টার দিকে হাসপাতাল থেকে ফোন করা হয়। আমরা সেখানে গিয়ে তার ‘লা’শ’ দেখতে পাই। মেয়েটা আমার ভাইকে ‘মে”রে’ছে। আমি বিচার চাই।
এদিকে এ ব্যাপারে ডামুড্যা থানার ওসি শরীফ আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।