শাস্তির অংশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চলেছে। যেসব দেশে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ভ্রমণ, বিনিয়োগ বা আগ্রহ রয়েছে সেখানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আবার কখনও কখনও প্রতিশোধ হিসেবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সর্বশেষ স্থানীয় সময় ইরান, চীন, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাঁচটি কোম্পানি এবং দুই ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মার্কিন অর্থ বিভাগ বা মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের সামরিক ও আ/ক্রমণাত্মক ড্রোন প্রকল্পে সহায়তা করার জন্য চীন, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইরানভিত্তিক সংস্থা ও ব্যক্তিদের ওপর এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ইউক্রেনে হা/মলা অব্যাহত রাখতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ ধরনের অ/স্ত্র সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে।
ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলেছে যে পাঁচটি কোম্পানি এবং দুই ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে যারা একটি নেটওয়ার্কের অংশ ছিল যা সংবেদনশীল অংশগুলি সংগ্রহ করতে সহায়তা করেছিল। এগুলো ইরানের আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল (ইউএভি) প্রকল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আসা বিশেষ মোটর ইরানের শাহেদ-১৩৬ ড্রোনগুলিতে ব্যবহৃত হয়। সম্প্রতি ইউক্রেনে বি/ধ্বস্ত একটি ড্রোনের ধ্বং/সাবশেষ থেকে এমন একটি মোটর উদ্ধার করা হয়েছে।
সম্প্রতি ইউক্রেনে এরকম ১৩৬টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার মূল হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ইরানের তৈরি ইউএভিগুলো।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মেক্সিকো ও কলম্বিয়ার ১০ মা/দক ব্যবসায়ীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ১৫ জানুয়ারী ২০২১ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কিছু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ইরানের তেল সরবরাহকারী ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান শিপিং লাইনের (আইআরআইএসএল) সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অফিস ছাড়ার মাত্র পাঁচ দিন আগে ট্রাম্প প্রশাসন নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে।