গত ৫ আগস্ট রাতে হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় সরকার, যার কারণে বিপাকে পড়েছে দেশের মানুষ। একদিকে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, মানুষের জীবনকে নাভিশ্বাস করে তুলবে এমন দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এবার জ্বালানি তেলের পাশাপাশি ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রেও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এ প্রস্তাব দিয়েছে।
বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) দেওয়া প্রস্তাবে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৮০ টাকা, এক লিটারের বোতল ২০৫ টাকা এবং পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৯৬০ টাকা।
সংস্থাটি বলছে, রুপির বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভোজ্যতেলের আমদানি মূল্যও বেড়েছে। এ কারণে দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।
টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতহার তসলিম গণমাধ্যমকে বলেন, আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় নতুন প্রস্তাব দিয়েছি। এখন সরকার বিবেচনা করবে।
তবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পেলে সেটা নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সয়াবিন তেলের মূল্য কয়েক মাসের মধ্যেই ৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকা হয়ে যায়, যার কারনে স্বল্প আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়ে। সরকার দাম কিছুটা কমিয়ে ২০০ টাকার নিচে আনলেও ফের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।