Wednesday , December 25 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ফের শাহজালাল বিমান বন্দরে করা হলো নারীর বিশেষ অঙ্গ কর্তন

ফের শাহজালাল বিমান বন্দরে করা হলো নারীর বিশেষ অঙ্গ কর্তন

বিদেশ থেকে অনেক সম্পদ অবৈধ পথে পাচার করে দুষ্টু লোকেরা। বিমান বন্দরে অনেক কড়া সিকিউরিটি থাকা সতেও অনেক সময় তারা পর পেয়ে যায়। তবে এবার আর পার পেলেন না এক নারী। অবৈধ পন্য বের করতে শেষ মেষ (প্রকাশ অজগ্য জায়গা ) কর্তন করতে হলো ওই নারীর।

বিমানবন্দরে ছয়টি স্বর্ণের বারসহ ওই নারীকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তার নাম নুরুন্নাহার। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ ফ্লাইটের ছয় যাত্রীকে আটক করা হয়।

সূত্র জানায়, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত মহাপরিচালক একটি গোপন সংবাদ পান যে দুবাই থেকে দুবাই-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৭ ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে একজন যাত্রী চোরাচালান করা সোনা নিয়ে যাচ্ছেন।

সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কাসের সহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান মজুমদারের নেতৃত্বে শুল্ক গোয়েন্দাদের একটি দল স্থানীয় টার্মিনালের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। বোর্ডিং ব্রিজ পার হওয়ার সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়।

পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে গোয়েন্দা দলকে জানায়, সে মলদ্বারে বিশেষ পদ্ধতিতে সোনা নিয়ে যাচ্ছিল। তারপর সোনার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তার শরীরে এক্স-রে করা হয়। এতে চারটি সোনার মতো বস্তু রয়েছে। পরে তার কাছে থাকা চারটি প্যাকেটে মোট ৬টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। ৯৩২ গ্রাম ওজনের ৬টি সোনার বারটির বাজার মূল্য প্রায় ৭৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা।

অভিযুক্ত যাত্রী নুরুন্নাহারের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, 1984 এবং শুল্ক আইন, 1989 এর বিধানে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে বিমানবন্দর পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্র জানায়।

তবে তার সাথে আর কেউ যুক্ত আছে কিনা সে বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ ধারনা করছে তার সাথে অনেক বড় চক্র রয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাবে সেটা জানা যেতে পারে।

About Nasimul Islam

Check Also

দীর্ঘ ১৭ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতা পিন্টু

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালাস পাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *