বাংলাদেশে ( Bangladesh ) বেশ কয়েকটি বড় ধরনের নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক দূর্ঘটনায় প্রান হারিয়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। ফের আরেকটি লঞ্চ ডুবির ঘটনা ঘটলো নারায়ণগঞ্জে। এই দূর্ঘটনায় অনেকের খোজ এখনও মেলেনি, বলে জানিয়েছে সেখানকার উদ্ধারকারী কর্মীরা। নিঁখোজ স্বজনদের আত্মীয়রা সেখানে ভীড় করতে শুরু করেছে।
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে এম এম আশরাফ উদ্দিন ( MM Ashraf Uddin ) লঞ্চ ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনের নিথর দেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। কার্গো জাহাজের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় অনেক হ/তাহ”তের আশ’/ঙ্কা করা হচ্ছে।রোববার দুপুর ( Noon ) ২টার দিকে সদর উপজেলার আলামিননগর ( Alaminnagar ) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।এম এম আশরাফ উদ্দিন ( MM Ashraf Uddin ) নামের লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের ( Munshiganj ) দিকে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ( fire service ) উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরফিন ( Abdullah Al Arfin ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত চারজনের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। উদ্ধার অভিযান শেষে হ’তাহ/তের সংখ্যা বলা যাবে।
তিনি আরও জানান, প্রয়াতের মধ্যে একজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে এক কিশোরও রয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের নাম নিশ্চিত করা যায়নি। এই ঘটনায় প্রায় ১৫-২০ ( ১৫-২০ ) জন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছে। তবে লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল তা তাৎক্ষণিক ভাবে জানা যায়নি। বিআইডব্লিউর উপ-পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা) বাবু লাল বৈদ্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। অনেকে এখনো নিখোঁজ।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে সংগঠিত বিভিন্ন নৌ-দুর্ঘটনার ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। একই সঙ্গে দেশের সব নদী খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহনে নীতিমালা করা উচিৎ। আর যাতে এই ধরনের দূর্ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে কতৃপক্ষকে।