এক সপ্তাহে দেশটির নেট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও ১০ কোটি ডলার কমেছে। ২৪ আগস্ট দিনের শুরুতে, নিট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩১৭ কোটি ডলার।
বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে তা কমে নিট মজুদ ২ হাজার ৩০৭ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে, গ্রস রিজার্ভ কমেছে ১২ কোটি ডলার। গ্রস রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন তহবিলে বিনিয়োগকৃত অর্থ উত্তোলনের ফলে গ্রস রিজার্ভ আরও কমেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, একদিকে দেশের রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় রিজার্ভ কমছে। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় থেকে ব্যয় পরিশোধের পর অতিরিক্ত কোনো ডলার না থাকায় তা রিজার্ভে যোগ হয় না। ফলে নিট মজুদ কমছে।
দিনের শুরুতে, বৃহস্পতিবারের মোট রিজার্ভ ছিল ২ হা/জার ৯২১ কোটি ড/লার। ২৪ আগস্ট ছিল ২ হাজার ৯৩৩ কো/টি ডলার। গত বছরের ৩০ আগস্ট গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৯০৪ কোটি ডলার। এক বছরে মোট রিজার্ভ ৯৭১ কোটি ড/লার কমেছে।
মজুদ কমে যাওয়ায় বাজারে বাড়ছে ডলারের দাম। আমদানি খাতে ব্যাংকগুলো এখন সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে ডলার বিক্রি করছে। আগে কয়েকটি ব্যাংক ১০৯ টাকা থেকে ১০৮ টাকা ৩০ পয়সা পর্যন্ত ডলার বিক্রি করত। গত সপ্তাহে তা সর্বোচ্চ দামে পৌঁছেছে। এখন সব ব্যাংক বিক্রি করছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।
নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১১৩ টাকা দরে। অনেক ব্যাংক ১১১ থেকে ১১২ টাকার বেশি বিক্রি করছে। কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১২০ টাকা বেড়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিক্রি হচ্ছে ১১৮ থেকে ১১৯ টাকায়।
এদিকে মানি চেঞ্জাররাও ডলারের দাম বাড়িয়েছে। নির্ধারিত সীমা অনুযায়ী, তাদের সর্বোচ্চ ১১২ টাকা ৫০ পয়সা হারে নগদ ডলার বিক্রি করার কথা। কিন্তু কিছু কোম্পানি বিক্রি করছে ১১৮ থেকে ১১৯ টাকায়।
এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে। ফলে বৃহস্পতিবার মানি চেঞ্জারে ডলার ১১২ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি হলেও খোলাবাজারে দাম কমেনি।