শ্রমিকদের সম্মতির হার আরও কমিয়ে কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে দেখা করে এ অনুরোধ জানান।
এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শ্রম অধিকারের বিষয়ে পরিবেশ বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের লেবার অ্যাটাশে লিনা খান ও ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ম্যাথু বেহের সঙ্গে বৈঠকের পর মন্ত্রী এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তারা (মার্কিন কর্মকর্তারা) শ্রমিক অধিকার নিয়ে নিজেদের বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি হয়তো লক্ষ্য করবেন যে গত বছর থেকে এই (শ্রম আইন) নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আইনে কী অগ্রগতি হয়েছে, আরও অগ্রগতি সম্ভব কি না; বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করি।
এরই একটি পদক্ষেপ হিসেবে আজকের আলোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, আপনারা জানেন, রাষ্ট্রপতির কাছে যখন শ্রম আইনটি গিয়েছিল, তখন একটি বিশেষ কারণে সেটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কারণটা আগেও আমি ব্যাখ্যা করেছি, আজকের আলোচনায় সেটিও উঠে এসেছে।
আনিসুল হক বলেন, মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের থ্রেশহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) সম্পর্কে এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তারা আমাকে বলেছেন যে, এই ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে অংশীদার হিসেবে কাজ করতে চায়। আর যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিকের অধিকার নিয়ে তারা খুবই সচেতন এবং এটা তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু। তখন আমি তাদের বলেছি, এটা বাংলাদেশ সরকার ও আওয়ামী লীগ সরকারের কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
আইনমন্ত্রী বলেন, আমিও বলেছি আগামী বুধবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের একটি টিমের সঙ্গে আলোচনায় বসব। আমাদের অগ্রগতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত হওয়ার জন্য মার্চ মাসে আইএলও গভর্নিং বডি মিটিং করছে এবং তারা কিছু জিনিস জানতে চায়, যা আমরা সেই বৈঠকের পরে তাদের বলব। আমাদের আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র আপত্তি তোলেনি বা সেরকম কিছু করেনি।
ইউনূসকে নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, ড. ইউনূসকে নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।