নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবারও বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। তার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে একাধিক সাফল্য এসেছে। এবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে আরেকটি বড় সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি।
৮৪ বছর বয়সী ড. ইউনূস মাত্র চার দিনের সফরে দাভোসে প্রায় ৫০টি আলোচনা ও বৈঠকে অংশ নেন, যার মধ্যে একদিনেই তিনি ১৩টির বেশি বৈঠক সম্পন্ন করেন। তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ড. ইউনূস চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও কার্যকরী করার জন্য বিনিয়োগ ও সহযোগিতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এবারের সম্মেলনে ‘বুদ্ধিমান যুগের জন্য সহযোগিতা’ বিষয়ক আলোচনায় ১৩০টিরও বেশি দেশের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। ৩,০০০ এর বেশি প্রতিনিধি, ৬০ জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং ৩৫০ জন সরকারি নেতা এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক সাফল্য এখানেই শেষ নয়। এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশ নিয়ে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ড. ইউনূসকে আন্তরিক অভ্যর্থনা জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে হোয়াইট হাউস পূর্ণ সহযোগিতা করবে।”
ড. ইউনূসের এই সাফল্যে কূটনীতিকরা বলছেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন নিরসনে তার প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হয়েছে।
নেটিজেনরা ড. ইউনূসের প্রশংসা করে বলছেন, তিনি বাংলাদেশের গর্ব এবং দেশের উন্নয়নে তার অদম্য প্রচেষ্টা আলোকিত দৃষ্টান্ত। এক নেটাগরিক লিখেছেন, “ড. ইউনূস আলোকিত মানুষ, যিনি পুরো বিশ্বে সম্মানিত। তার হাতে দেশ থাকলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।”