অপ্রাপ্তবয়স্ক বিয়ে নিয়ে সমালোচিত ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ এবং ওই প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো.জাকির হোসেনের পক্ষে অ্যাডভোকেট তানভীরুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রেজিস্ট্রি পোস্টের মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, মুশতাক-তিশা দম্পতি অজ্ঞ, ভণ্ড, অশিক্ষিত, অসামাজিক, যৌ/ন উত্তেজক, তরুণ প্রজন্মকে ধ্বং/সকারী, প্রতারক ও সভ্যতাবিরোধী মানুষ। সমাজকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এই সমাজের হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে কলঙ্কিত করে, বয়সের বড় ব্যবধানে তারা বিয়ের পর একসঙ্গে বসবাস করছে, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের ও লজ্জার বিষয় এই দম্পতির অসম বিয়ের আগে বিয়ে ও বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াও প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সাক্ষাৎকার নিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ভিডিও তৈরি এবং প্রচার করছেন।
এতে বলা হয়েছে যে এই দম্পতি তরুণদের অসামাজিক, অশ্লীল এবং যৌ/ন ইঙ্গিতমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে প্রলুব্ধ করছে, পাবলিক প্ল্যাটফর্মে যেমন অশ্লীল, দৃষ্টিকটু, দৃশ্যমান এবং শ্রবণযোগ্য যৌ/ন ইঙ্গিতমূলক ভিডিও এবং সাক্ষাত্কার প্রচার করেছেন যা দেশের ফৌজদারি আইনের অধীনে একটি অপরাধ।নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, মুশতাক-তিশার এ ধরনের ভিডিও ও সাক্ষাৎকার সমাজের কোনো সুফল বয়ে আনছে না বরং তরুণ প্রজন্মসহ সমাজ ও দেশের মানুষকে বিপথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
লিগ্যাল নোটিশে নোটিশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পাবলিক প্লাটফর্ম ও ডিজিটাল মিডিয়ায় দেখা মুশতাক-তিশা দম্পতির সব প্রকাশনা, ভিডিও এবং সাক্ষাৎকার মুছে ফেলতে বা মুছে দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে এসব অশ্লীল ও নোং/রা বিষয় নিয়ে ভিডিও করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে মুশতাক-তিশা দম্পতির বিষয়বস্তু/ভিডিও/সাক্ষাৎকার প্রত্যাহার/মুছে ফেলার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় মুদ্রিত হয়েছে এবং বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দৃশ্যমান হয়েছে। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এটি মুছে ফেলা না হয় এবং এই ধরনের অসামাজিক যৌ/ন ইঙ্গিতপূর্ণ, অশ্লীল বিষয়বস্তু/ভিডিও/সাক্ষাৎকার আগামীতে প্রকাশিত হচ্ছে মোশতাক-তিশা জুটির প্রকাশ করলে সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ২০২৩ এবং দেশের প্রযোজ্য প্রাসঙ্গিক যে সাইবার আইনের অধীনে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে।