আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৬ মাসের মধ্যে যেকোনো সময় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইভিএম মেশিন এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণে কারচুপি হয়ে থাকে। এবার তাদের এই দাবির বিষয়ে পরিষ্কার হতে ইসির পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবার মতামতের ভিত্তিতে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। সূত্র জানায়, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) দেখতে ও যাচাইয়ের জন্য ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানাতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ইভিএম যাচাই-বাছাই করে মতামত জানাতে ১৯ জুন থেকে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে ডাকা হবে। প্রতিদিন, তিনটি অংশে ১৩ টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। এরই মধ্যে দেশের সেরা প্রযুক্তিবিদদের মতামত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ১৯ জুন জাতীয় পার্টিসহ ১৩টি দল, ২১ জুন বিএনপিসহ ১৩টি দল এবং ২৬ জুন আওয়ামী লীগসহ ১৩টি দলকে ডাকা হবে। প্রতিটি দল তাদের পাঁচজন প্রতিনিধি/কারিগরি টিমের পাঁচ জন করে পাঠাতে পারবে। তিনি বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হবে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ছয় মাসের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো ইভিএম ভোটিং চালু করে। বর্তমানে ইসির কাছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে। যা দিয়ে প্রায় শতাধিক আসনে ভোট নেওয়া সম্ভব।
উল্লেখ্য, দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের বিষয়টি গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানিয়েছে। তারা দাবী করছে ইভিএম মেশিন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ভোট কারচুপি হয়ে থাকে। ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট মাধ্যমে নির্বাচন না দিয়ে ব্যালটের নির্বাচন দাবি করেন তারা।