দেশে ডলারের তীব্র ঘাটতি। অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার দাম। উল্টো কমে যাচ্ছে টাকার মান। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা পদক্ষেপ করেও নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে খোলা বাজারে ডলারের দাম থেমেছে ১২০ টাকায়। যারা চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য বিদেশে যাচ্ছেন তাদের কিনতে হচ্ছে প্রতি ডলার ১১৯.৫০ পয়সা থেকে ১২০ টাকা। বৃহস্পতিবার কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদে এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের ১১৯ টাকা থেকে ১২০ টাকা দিতে হবে। যেখানে গত সপ্তাহে এক ডলার ছিল ১১৭-১১৮ টাকা। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী খুচরা বাজারে ডলারের দাম যেন ১১৩ টাকার বেশি না হয়।
বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ হাউস ও ডলার ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ মানি চেঞ্জারের কাছেই ডলার নেই। এমনকি যাদের আছে তারাও সরাসরি ডলার বিক্রি করছে না।
মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব শেখ হেলাল সিকদার বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক মানি চেঞ্জারদের ডলারের দাম নির্ধারণ করেছে। এক্ষেত্রে ক্রয় হার ১১১ টাকা 80 পয়সা এবং বিক্রির হার ১১৩ টাকা ৩০ পয়সা। এই দামে কেউ ডলার পাচ্ছে না, এখন শূন্য হাতে বসে আছে। তিনি বলেন, মানি চেঞ্জার খালি থাকলেও ট্রাভেল এজেন্সি ও ফুটপাতে ডলার বিক্রি হচ্ছে। কারণ তাদের কারো কাছে হিসাব দিতে হয় না।
এদিকে রাজধানীর মতিঝিল ও গুলশান এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মানি চেঞ্জারদের তেমন বেচাকেনা নেই। মুষ্টিমেয় কিছু মানি চেঞ্জার ট্রেড করছে, কিন্তু সংখ্যা খুবই কম। সংক্ষেপে, বিক্রেতারা অলস সময় কাটাচ্ছেন। অনেকেই দাবি করছেন, ডলার না থাকায় বিক্রি করতে পারছেন না। কয়েক ডলার বিক্রেতা বলেন, বাজারে লেনদেন হচ্ছে, তবে খুব কম। কারণ সবার কাছে ডলার নেই।