ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে আরও দুই দিনব্যাপী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আজ রবিবার ও সোমবার এ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
শনিবার দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, একদল সরকারের পদত্যাগের আন্দোলন এখন বেগবান হচ্ছে। প্রতিটি মানুষ আমাদের কর্মসূচিকে সমর্থন করছে। হাটে-মাঠে, ক্ষেত-খামারে, মার্কেটে, শপিং মলে মানুষকে লিফলেট দিয়েছি। তারা আমাদের কথা শুনছে এবং সমর্থন করছে। কিন্তু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে সরকার ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছে, সেটিই আবারও করছে। পুলিশ হয়রানি করছে, গ্রেফতার ও মামলা দিচ্ছে।
রিজভী বলেন, শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির ক্ষমতাধর হওয়ার ইচ্ছার কারণে সরকার সারাদেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তির চেতনা। কিন্তু আজকে দেশের মানুষ আত”ঙ্কের মাঝে দিন পার করছে। দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটেছে এবং নারকীয় প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। চারদিকে পুলিশ-র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রাজত্ব চলছে। বাড়ি থেকে লোকজনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। নারীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করছে। গ্রেফতার করলেও কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রে বিরোধী দল একটি স্বীকৃত সত্য। কিন্তু সরকার তা মানতে চায় না। যাতে তাদের ক্ষমতার মধুর হাঁড়ি উল্টে না যায়। তাই শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে পাহারা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিএনপি বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের নেতারা বিএনপিকে শেষ করার হুমকি দিচ্ছেন। তবে বিএনপি জনপ্রিয় কিনা তা সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রমাণিত হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জনগণকে আত”ঙ্কে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছেন। তিনি তো জনগণের ওপর তার সাজানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সীমাহীন দমন-পীড়ন চালাচ্ছেন। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে ভয় পাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনকে সামনে রেখে এর নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশে গভীর ও ভ”য়ানক ষড়যন্ত্র চলছে। পরিকল্পিতভাবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সহিং”সতার মাত্রা বাড়ছে। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, যা মিথ্যা ও কাল্পনিক। তিনি রাজনীতির নৈতিকতা মানেন না। তারেক রহমান ও জিয়া পরিবার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মিথ্যা ও কুৎসা রটনা। কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের বক্তব্য দিলে সে দেশের মানুষের শালীনতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।