বাংলাদেশ একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস। তিনি এবং গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত হন। কিন্তু এই বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করেছেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক কর্মকর্তারা। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী লভ্যাংশ প্রদান না করায় তিনি বড় ধরনের বিপাকে পড়েছেন।
শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দাবি করে গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসানের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ৮ কর্মকর্তা গত ৯ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে পৃথক ৮টি মামলা করেন। রোববার দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার এইচএম সানজিদ সিদ্দিকী।
ব্যারিস্টার এইচএম সানজিদ সিদ্দিকী বলেন, গ্রামীণ টেলিকমে ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ৮ জন কর্মকর্তা কর্মরত ছিলেন। তারা ২০০৬-২০০৯ অর্থবছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
শ্রম আইন অনুযায়ী, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে প্রদান করা হবে। এই লভ্যাংশ না পেয়ে প্রথমে তারা গ্রামীণ টেলিকমকে আইনি নোটিশ পাঠায়। কিন্তু আইনি নোটিশ দেওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত ৯ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে শ্রম আইনের ২১৩ ধারায় পৃথক ৮টি মামলা করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন যে, আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছে এবং গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষকে ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩ এর মধ্যে তার জবাব দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে। গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেড, গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করতে ষড়যন্ত্র করেছিলেন যারা তার মধ্যে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নামও উঠে আসে। মামলা নিয়ে অনেকটা খারাপ সময় পার করছেন তিনি। এদিকে বেশ কয়েকটি মামলার জালে পরে অনেকটা চাপেও রয়েছেন তিনি।