বনাঢ়্য আয়োজনের মাধ্যমে আলোচিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা আলোচনা-সমালোচনাকে পেছনো ফেলে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় সিদ্ধান্তে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। সেতু উদ্বোধনের পরের দিন যান চলাচলের জন্য উন্মক্ত করে দেওয়া হয় সেতু। পরে সেতুর উপরে উঠে রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে টিকটক করে আলোচনায় আসেন বায়জিদ তালহা। পরে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে দেওয়া যুবক বায়েজিদ তালহাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তালহার জামিন স্থগিত করেছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর একটি টিকটক ভিডিওতে দেখা যায়, ওই যুবক হাত দিয়েই পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট খুলে ফেলেন। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘এই হলো আমাদের পদ্মা সেতু। আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু। এই নাট খুইলা এহন আমার হাতে।
এ সময় পাশ থেকে আরেকজন বলেন, ‘ভাইরাল কইরা ফালায়েন না। ‘
পরে ভিডিওটি ভাইরাল হলে গত ২৬ জুন বিকেলে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে টিকটক করা সেই যুবক বায়জিদ তালহাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই যুবকের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।
২৭শে জুন বিকেলে শরীয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালেহুজ্জামান তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন না পেয়ে তালহা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। আবেদনের শুনানি শেষে ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন এবং রুল জারি করেন। জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরে জামিনের আবেদন করলেও ওই যুবক জামিন না্ পাওয়ায় উচ্চ আদালতের সরানাপন্ন হন। কিন্তু উচ্চ আদালত জামিন মঞ্জুর করলেও রাষ্ট্র পক্ষের আবেদনে স্থগিত হয়।