অভিনেত্রী পরীমণির (শামসুন্নাহার স্মৃতি) বিরুদ্ধে রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মা/দক মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে তার বিরুদ্ধে মা/দক মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি।
২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নজরুল ইসলাম এ মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। বিচার শুরু করা অপর দুই আসামি হলেন পরীমনের সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও মো. কবির হাওলাদার।
অভিযোগ গঠনের শুনানিকালে তিন আসামি আদালতে হাজির হন। অভিযুক্তদের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দাবি জানিয়েছে প্রসিকিউশন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দেন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র পড়ে শোনানো হয়। এরপর তাদের জিজ্ঞাসা করা হয় তারা দোষী নাকি নির্দোষ। এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বিচার চান। এরপর আদালত অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেন।
পরে মামলাটি বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। একই বছরের ১ মার্চ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। রুলে মামলা কেন খারিজ করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২৪ আগস্ট এই রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, সৈয়দা নাসরীন ও মো. শাহিনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বনানীর ১২ নম্বর রোডে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ মা/দক উদ্ধার করা হয়। মাদক মামলায় পরীমনিকে ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১৩ আগস্ট রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর ১৯ আগস্ট আদালত আরও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। একই বছরের ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।