সপ্ন পদ্ম সেতু নামকরণের কারণে দেশজুড়ে তুমুল আলোচনা হয়। খবরটি প্রধানমন্ত্রীরও নজরে আসে। এরপর তিন শিশুর স্বজনদের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা ও উপহারের স্বর্ণের চেইন তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার শামীম মুসফিক ফুল ও ফল নিয়ে দম্পতির বাড়িতে যান।
তবে এবার পাবনার বেড়া পৌর এলাকার আমাইকোলা মহল্লার এক গৃহবধূ একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তিনটি শিশুই ছেলে। প্রাথমিকভাবে এদের নাম ছিল পদ্মা, সেতু ও উদ্বোধন। শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিন শিশুর জন্ম হয়।
ওই গৃহবধূর নাম সুমি খাতুন। তার স্বামী মিজানুর রহমান পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিন সন্তানের বাবা মিজানুর রহমান জানান, গত ২৩ জুন বিকেলে পাবনার পিডিসি হাসপাতালে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি আল্ট্রাসনোগ্রাম করিয়ে দেখেন যে শিশুটির পেটের ভেতরের অবস্থান কিছুটা অনিয়মিত। চিকিৎসক তাকে রাজশাহী নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর শনিবার (২৫ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিন ছেলের জন্ম হয়।
তিনি আরও জানান, তিন সন্তানের ডাকনাম হিসেবে পদ্মা, সেতু ও উদ্বোধন রাখা হয়েছে। পরে তাদের ভালো নাম হবে।
কেন নাম দেয়া হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার ও স্বপ্ন। এছাড়া পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন তাদের জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে এ নামকরণ করা হয়েছে। কোনো পুরস্কার পাওয়ার লোভে আমি আমার সন্তানদের পদ্মা, সেতু, উদ্বোধন নাম রাখিনি।
তিন সন্তানের জনক মিজানুর জানান, ২০১০ সালে সুমি খাতুনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এর আগে তাদের সংসারে তিন মেয়ে ছিল। তাদের নাম মীম (১১), জিম (৭) ও সীম (৪)। স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে প্রত্যেকের জন্ম হয়। আগের তিন সন্তানের সবাই মেয়ে হওয়ায় আল্লাহর কাছে ছেলে চেয়েছিলাম। ভগবান আমাদের মন ভরে দিয়েছেন। তিন ছেলেকে একসঙ্গে পেয়ে আমরা খুব খুশি। আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।