সম্প্রতি আভ্যন্তরীন কোন্দলে জাতীয় পার্টির মধ্যে ভাঙ্গনের সুর যেন থামছে না। দেবর ভাবির দ্বন্দ্বে একের পর এক নেতাকে অব্যাহতি দিয়ার মধ্যে দলটি রাজনীতির কোন পথে হাটছে। জাতীয় পার্টিকে নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আলোচনা চলচ্ছে। আগামী নির্বাচন দলটি কি কারর জোট যোগ দিবে না একাই ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন কৌশল নিচ্ছে হয়তো এটির তার অংশ হতে পারে ধারনা করেছে বিশ্লেষকরা। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান একেএম আব্দুর রউফ মানিককে দল থেকে অব্যাহতি দেয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালানোয় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক পৌর মেয়র একেএম আব্দুর রউফ মানিককে দলীয় প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বুধবার সকালে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ২০/১/(১) (ক) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই সিদ্ধান্ত নেন।
জানা যায়, আমেরিকায় ছেলের বাসায় দীর্ঘদিন থাকার পর চলতি বছরের ১২ জুন সাবেক পৌর মেয়র একেএম আবদুর রউফ মানিক রংপুরে ফিরে আসেন। সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে মোটরসাইকেল শোডাউনে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তার সমর্থকরা। এ সময় নগরীর মুন্সীপাড়ার বাড়িতে আব্দুর রউফ মানিক সাংবাদিকদের বলেন, আমি রংপুর সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইব। মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করব। না হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব।
এদিকে ২০২১ সালের ২১ আগস্ট রংপুর জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্তমান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। সম্প্রতি জাতীয় পার্টি থেকে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে বহিষ্কার করার পর সিটি নির্বাচন নিয়ে আব্দুর রউফ মানিকের নাম আলোচনায় আসে। তাকে রওশন এরশাদ দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন বলে শোনা যায় এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে আব্দুর রউফ মানিকের পোস্টার বানিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে অনেকে প্রচারণা চালায়।
এ প্রসঙ্গে মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এসএম ইয়াসির দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে রওশন এরশাদ মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়েছেন আবদুর রউফ মানিক। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাকে দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও মূলত রওশন এরশাদ পন্থি হওয়া তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। দলের চেয়ারমানের কথার বাহিরে গেলে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে সেটি লক্ষ করা গেছে এর আগেও।