গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভের অর্থনৈতিক ভারসাম্যতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ কমে গিয়ে অনেকটা নিচু অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। গত একদিনের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে সেটি আরও কমে গিয়েছে।আজ (বুধবার) রিজার্ভ নেমে এসেছে ৩৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে। গতকাল রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৯.৮০ বিলিয়ন ডলার।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল ৪৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে। প্রায় দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো গতকাল রিজার্ভ কমেছে ৩৯.৮০ বিলিয়ন ডলারে।
এক সপ্তাহ আগে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (একিউইউ) ১৯৬ কোটি ডলার মূল্যের আমদানি ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ। আমদানির টাকা পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে গেছে।
আকু(AQU)-এর মাধ্যমে, সদস্য দেশগুলি তাদের আঞ্চলিক লেনদেনের জন্য আমদানি পেমেন্ট নিষ্পত্তি করে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা আকুর(AQU) সদস্য।
আকুরের সদর দফতর ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত। আকুরের মাধ্যমে সদস্য দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানি ফি দিতে হয়।
আজও ঈদের পর আমদানি ব্যয় মেটাতে চাপ বাড়ায় বাজারে বড় অঙ্কের ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর প্রভাব পড়েছে মজুদেও।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে যে রিজার্ভের মন্দার মুখোমুখি হচ্ছে, সেটি কাটাতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশগুলো বর্তমান সময়ে অর্থনৈতিক মন্দার মুখে পড়েছে, যার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। ইতিমধ্যে বিদেশ থেকে বিলাসবহুল পণ্যদ্রব্য বিশেষ করে গাড়ি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এবার উপজেলা পর্যায়েও ব্যয় কমাতে নির্দেশনা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।