Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ফের আদালত থেকে দু:সংবাদ পেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস

ফের আদালত থেকে দু:সংবাদ পেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস

ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলা খারিজ করে দেয়ার জন্য আদালতে আপিল করলেও তার আপিলের বিষয়ে ইতিবাচক কোনো খবর পাননি ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস। তার আপিলের বিষয়ে এক কথায় কোনো সাড়া দেননি চেম্বার আদালত। সেই প্রেক্ষিতে আরো দীর্ঘায়িত হচ্ছে তার বিচারাধীন মামলা।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলা কেন বাতিল হবে না, মর্মে জারি করা রুল খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন চেম্বার আদালত। আগামী ১৭ অক্টোবর আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের আদালত এ আদেশ দেন। ইউনূসের পক্ষে আদালতে হাজির হন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

গত ১৭ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা কেন বাতিল করা হবে না, এ মর্মে জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এ কারণে তার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা চলতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। পরে রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন ড. ইউনুস।

গত ১৩ জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম নিম্ন আদালতে দুই মাসের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ সময়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা কেন খারিজ করা হবে না- এ মর্মে জারি করা রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।

গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মো. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নূরজাহান বেগম ও শাহজাহান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান।
এর মধ্য থেকে ১০১ জন শ্রমিককে তাদের চাকরিতে স্থায়ী করার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও তাদেরকে চাকরিতে স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণ তহবিল এবং কল্যান তহবিল গঠন করার বিষয়ে নির্দেশে দেওয়া হলেও সেটা করা হয়নি। কোম্পানি যে পরিমান লাভ করবে তার ৫ শতাংশ পরিমাণ অর্থ শ্রমিকদের দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলেও তার তোয়াক্কা করা হয়নি। এসকল নির্দেশ লংঘন করার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা দায়ের হয়।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *