বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি ঘটনাটা আসলেই খুব লজ্জাকর একটি বিষয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ব্যাংক বাংলাদেশের মুদ্রা ও নোট ইস্যু করে থাকে এবং অন্যান্য সকল ব্যাংকের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। সম্প্রতি জানা গেছে রিজার্ভ চুরির প্রতিবেদন দিতে ৬৬ বার সময় নিলো সিআইডি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকা চুরির ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আগামী ২ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরাফাতুল রাকিব এই নতুন তারিখ নির্ধারণ করে আদেশ দেন। এদিন এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিল সিআইডির। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির সহকারী সুপার রায়হান উদ্দিন খান সময়ের আবেদন করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সিআইডি ৬৬ বার সময় নিয়েছে।
নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের মধ্যে ১০১ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি, ‘হ্যাকিং’ করে এই টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনে পাঠানো হয়েছে।
ওই ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব ও বাজেট বিভাগের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা মতিঝিল থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এবং ৪ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। তথ্য ও প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এর ৫৪ এবং ৩৭৯ ধারা। একটি মামলা দায়ের।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্তভার নিয়েছিল সিআইডি। তবে এখনো পর্যন্ত সেই তদন্তের রিপোর্ট পেশ করা হয়নি। ঐ ঘটনার প্রতিবেদন দিতে ৬৬ বার সময় নিএওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।